• ২২শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

অবৈধ ভাবে বালু-পাথর উত্তোলন কৃত নৌকা প্রবেশ বন্ধে চলতি নদীর মোহনায় বাশেঁর বেড়া।

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত অক্টোবর ১৯, ২০২৪
অবৈধ ভাবে বালু-পাথর উত্তোলন কৃত নৌকা প্রবেশ বন্ধে চলতি নদীর মোহনায় বাশেঁর বেড়া।

বিবিএন ডেস্ক:

দীর্ঘদিন ধরেই সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইজারাবিহীন ধোপাজান চলতি নদী থেকে একটি শক্তিশালী বালুখেকো সিন্ডিকেট দিনে ও রাতে প্রশাসন কে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে সম্পূর্ন অবৈধ ভাবে বালু-পাথর উত্তোলন করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছে। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ সহ অন্যান্য বাহিনীর লোকজন প্রায়ই অভিযান চালান। বড় বড় নৌকাও জব্দ করেন এবং যথারীতি মামলা দায়ের করেন। কিন্ত আইনের ফাঁক গলিয়ে নৌকা ছাড়িয়ে পুনরায় একই কায়দায় বালু-পাথর উত্তোলন করে। এ নিয়ে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা সহ নানা ফোরামে কথা উঠে,এমনকি পরিবেশ বাদী সংগঠনের পক্ষ থেকেও সভা সমাবেশ হয় তার পর ও থেমে নেই অবৈধ বালু-পাথর উত্তোলন ও পরিবহণ। অতি সম্প্রতি সুনামগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ডঃ মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার চলতি নদীর (ধোপাজান)মোহনা থেকে অবৈধ বালু-পাথর উত্তোলন ও পরিবহণ প্রতিরোধের জন্য সুরমা নদীর মোহনা থেকে অর্থাৎ চলতি নদীর প্রবেশ মুখ থেকে উত্তর সীমান্ত খাসিয়া পাহাড় পর্যন্ত অংশে সকল ধরনের বাল্কহেড নৌকা সহ বালু পরিবহণে ব্যবহৃত জলযান প্রবেশ নিষিদ্ধ করে একটি আদেশ জারি করেন। কিন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি ।আবার ও সেই অবৈধ কাজ কারবার চলে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৮ অক্টোবর শুক্রবার জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইউএনও অতীশ দর্শী চাকমা,সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি ইসমাইল রহমান,তহশিলদার ছিদদিকুর রহমান পুলিশ, ডিবি সহ দিনভর সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা নদীর মোহনা থেকে চলতি নদীর প্রবেশ মুখে বাশেঁর বেড়া দেন। যাতে অবৈধ ভাবে উত্তোলন কৃত বালু-পাথর পরিবহনের নৌকা যাতায়াত করতে না পারে। তাতেও কাজ হয়নি ইউএনও, এসিল্যান্ড তহশিলদার চলে আসার পর সন্ধ্যার পর পরই আবার নৌকা ঢুকতে শুরু করে। বিষয় টি জেলা প্রশাসক কে জানালে তিনি বলেন আমাদের চেষ্টার কোন কমতি নেই, নানা পন্থা অবলম্বন করছি কিন্ত কাংঙ্খিত সুফল পাচ্ছিনা, আমি দেখছি কি করা যায়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ এখানে একটি চেক পোষ্ট রয়েছে তার পর এসব কেন থামেনা, নিশ্চয়ই সরিষায় ভূত রয়েছে।