নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গত মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ আদালতে চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রদল কর্মী মুস্তাক আহমেদ, সাইফুল ইসলাম রাহি, কবির নামে তিন জন কে জেলে পাঠানো হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে শহীদ জগৎজ্যোতি পাঠাগারে তাদের সন্তানের উপর ষড়যন্ত মূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাদের স্বজনরা।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত মোসতাকের মা দিলরুবা খান বলেন, আমার ছেলে মুস্তাক আহমেদ জারিকারক পদে চাকুরির জন্য দেড় লাখ টাকা গোলাম কিবরিয়া নামক আদালতের একজন কে প্রদান করেন। তার চাকুরী না হওয়ায় সে টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন সময়ে ৭০ হাজার টাকা ফেরত দেয় এবং ধাপেধাপে বাকি টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেয়। ঘটনার আগের দিন সুনামগঞ্জ শহরের দেশ বন্ধু মিষ্টান্ন ভান্ডারে এক সাথে চা পান করে সিদ্ধান্ত হয় পরদিন ২ সেপ্টেম্বর আদালতে গিয়ে টাকা আনার। কথা মত গেলে তাদের চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
গত মঙ্গলবার দুপুরে মুস্তাক তার দুই বন্ধু কে নিয়ে বাকি ৮০ হাজার টাকা ফেরত চাইতে গেলে তাদের উপর চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে পুলিশে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়। দুইটা গাভী বিক্রি করে চাকুরির জন্য টাকা দিয়েছিলাম। সেই টাকা ফেরত চাওয়ায় আমার সন্তান এখন জেলে আছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই আমার নিরপরাধ সন্তান সহ তার দুই বন্ধুর মুক্তি চাই।
অভিযুক্ত মোস্তাক সুনামগঞ্জ পৌর ছাত্র দলের যুগ্ম আহবায়ক, সাইফুল ইসলাম রাহী সৈনিক দলের সভাপতি বলে ও দাবী করা হয়।
অপরদিকে সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত গোলাম কিবরিয়া বলেন তার সাথে কোন লেনদেনের সম্পর্ক নেই, তার কাছে চাদাঁ দাবী করেছিল।