• ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সুনামগঞ্জে সাবেক মন্ত্রী, এমপি, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ ৯৯ জনের নামে মামলা

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২, ২০২৪
সুনামগঞ্জে সাবেক মন্ত্রী, এমপি, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ ৯৯ জনের নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ৪  আগস্ট সুনামগঞ্জেঞ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে প্রতিপক্ষের হামলা ও গুলির ঘটনায় সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, চার এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি – সম্পাদক, পৌরসভার মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, এডিশনাল এসপি, ওসি,  সাংবাদিক সহ ৯৯ জনকে আসামি করে আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।

রোববার ২ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট নির্জন কুমার মিত্র’র আদালতে  মামলা দায়ের করেন দোয়ারাবাজার উপজেলার এরোয়াখাই গ্রামের  নাজির আহমদের  পুত্র মো. হাফিজ আহমদ।

মামলায়ণঅভিযুক্তরা হচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট, , সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ ৩ আসনের সাবেক এমপি এমএ মান্নান, সুনামগঞ্জ ৫ আসনের সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ ১ আসনের সাবেক এমপি অ্যাড. রনজিত সরকার ও মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন, সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নাদের বখত, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল, জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম শামিম, সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস, সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার সাবেক ওসি খালেদ চৌধুরী সাংবাদিক শামস শামীম,বিন্দ  তালুকদার সহ ৯৯জন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গেল ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী সংঘবদ্ধ হয়ে বাদীর ভাই গুরুত্বর আহত জহুর আলী ও রিপন মিয়া সহ আহতদের শহরের পুরাতন বাস স্টেশনে গুলি করে রামদা দিয়ে কুপিয়ে পেট্টলবোমা ও ককটেল ফাটিয়ে বিনা উসকানীতে আহত করেছেন।  তারা কেউবা স্বশরীরে ছিলেন, কেউ হুকুম দিয়েছেন। আহতরা হাসপাতালেও আওয়ামী চিকিৎসকগণের অসযোগিতায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়।

মামলা দায়েরকারী মো. হাফিজ আহমদ সুষ্ঠ বিচার দাবি করেছেন।

মামলার আইনজীবীগণ  ছিলেন এডভোকেট মো. মোশাহিদ আলী ,এডভোকেট মাসুক আলম,এডভোকেট আব্দুল হক সহ অন্যান্য আইনজীবী গণ উপস্থিত ছিলেন। তারা  বলেন, গেল ৪ আগস্ট সুনামগঞ্জে মিছিল করার সময় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নির্দেশে ছাত্র জনতার উপর আক্রমণ করা হয়েছে। এসময় পুলিশও হামলা করেছে। এই ঘটনায়  আজ আমরা দ্রুত বিচার আইনে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।

মামলার অন্যান্য অভিযুক্তরা হচ্ছেন, সালেক মিয়া,জাহিদুল ইসলাম বাপ্পী,এসআই রিয়াজ আহমদ, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার মনজুর আহমদ, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শংকর চন্দ্র দাস, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল আলম নিক্কু, সুনামগঞ্জ সদর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম, সুনামগঞ্জ সদর যুবলীগ সভাপতি এহ্সান আহমদ উজ্জ্বল, তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অমল কর,দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়, বিএনপি নেতা রিগান আহমদ, তাহিরপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন,  কয়লা বাবসায়ী আব্দুল কুদ্দুস,

জেলা কৃষক লীগের সদস্য সচিব দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকা ও আরটিভির সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি বিন্দু তালুকদার, দোয়ারাবাজার উপজেলার ফরিদ আহমেদ ইমন,সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সুয়েব চৌধুরী,সাধারণ সম্পাদক জুবের আহমদ অপু, সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দীপঙ্কর কান্ত দে সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রিপন, ছাতকের আলামিন রহমান, কেন্দ্রীয় যুবলীগ উপ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ফজলে রাব্ব স্মরণ, বাবসায়ী সজীব রঞ্জন দাস, লিখন আহমদ, দেওয়ান জিসান রাজা,পৌর কাউন্সিলর আহসান জামিল আনাছ,তাহিরপুরের লুৎফুর রহমান লিটন, জাহির আলী,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রঞ্জিত চৌধুরী রাজন, জনি হোসেন, হাসানুজ্জামান ইস্পাহানী,ফজলুল হক, ফরহাদ আহমদ, সাজন আহমদ,আবীদুর রহমান তারেক, নিরব,মেহের, দোয়ারাবাজার উপজেলার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার মিয়া আনু,শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত হোসাইন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নুর হোসেন, ফয়সাল আহমদ, নুরুল ইসলাম, সাংবাদিক সামিয়ান তাজুল,দোয়ারাবাজারের ফারুক মিয়া,বুগলা বাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিলন খান,মধ্য নগরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল আহমদ, তাহিরপুর উপজেলার বাবসায়ী ও বিএনপি নেতা রতন মিয়া,   যুবলীগ নেতা  ফারুক আহমেদ সুজন ,তাজিম তিমু,দোয়ারাবাজার উপজেলার বাবুল মিয়া, আবুল মিয়া, সুনামগঞ্জ সদর যুবলীগ সাধারণ  সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম উকিল,

আওয়ামীলীগ নেতা ওবায়দুর রহমান কুবাদ,লিটন সরকার, নুরুল ইসলাম বজলু,নুরুল ইসলাম, তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল হোসেন খান, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কামাল হোসেন, জগলু মিয়া,দোয়ারাবাজার উপজেলার ইকবাল হোসেন, রিমন ,জাওয়াদ,সাইদুল পলাশ,শাহরীয়ার নিহান ,শিহাব,প্রিন্স রাজা,মিতুল মাহির,প্রিন্স, মসিবুর,দৈনিক কালের কণ্ঠ ও ৭১ টিভির প্রতিনিধি শামস শামীম, মিজানুর রহমান, মেহেদী হাসান সাকিব, মধ্য নগরের মোস্তাক আহমদ, যুবলীগের জমিরুল ইসলাম পৌরব,তুষার, মহিম তালুকদার, অয়ন,তাওসিফ,ছলিম উদ্দিন, সাহারুল আলম, মুহিবুর রহমান মানিক এমপির ব্যক্তিগত সহকারী মোশাহিদ আহমদ, শিমন চৌধুরী,তাহিরপুরের কয়লা ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুস, খুর্শিদ মিয়া,কুবাদ,জিকির আলী ও সাবেক এমপি শামীমা শাহরীয়া এর স্বামী শাহরীয়ার বিপ্লব।