• ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

গণমাধ্যমের কাজে বাধা ও ফোন চেক করার নিন্দা

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত আগস্ট ১৫, ২০২৪
গণমাধ্যমের কাজে বাধা ও ফোন চেক করার নিন্দা

বিবিএন ডেস্ক:নাগরিকদের মোবাইল ফোন চেক করে প্রাইভেসি লঙ্ঘন, গণমাধ্যমের কাজে বাধা এবং ট্রাফিক কন্ট্রোলের নামে অযথা হয়রানির ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বৃহস্পতিবার সংগঠনটির অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক বার্তায় বলেন, চলমান কর্মসূচিকে ঘিরে বেশ কিছু বিষয় আমাদের নজরে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে গণমাধ্যমের বন্ধুদের পেশাদারি কাজে বাধা প্রদান, রাস্তার মধ্যে মোবাইল চেক করার মতো প্রাইভেসি লঙ্ঘন এবং ট্রাফিক কন্ট্রোলে হয়রানি। আমরা কেবল নির্যাতকের পরিবর্তন চাইনি, আমরা নির্যাতনেরও পরিবর্তন চেয়েছি। ছাত্রলীগ যখন ফোন চেক করার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন করেছিল আমরা সে বিষয়ের প্রতিবাদ জানিয়েছি। আজকে যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিচয় দিয়ে ফোন চেক করে মানুষের প্রাইভেসি লঙ্ঘন করেছেন- এটাকে আমরা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ মনে করছি এবং এটির প্রতিবাদ করছি। হুঁশিয়ার করতে চাই- আপনারা এ ধরনের কাজের আর কখনো পুনরাবৃত্তি করবেন না। তিনি বলেন, ধানমন্ডি ৩২ এ অনেক গণমাধ্যমকর্মীকে ছবি ও ভিডিও ফুটেজ নিতে বাধা দেয়া হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতা থাকা প্রয়োজন। যারা মত প্রকাশ করতে চায় এবং দ্বিমত প্রকাশ করতে চায় উভয়েরই স্বাধীনতা থাকা প্রয়োজন।

সে জায়গায় যারা গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাদারি কাজ করতে দেননি আমরা নিন্দা জানাই। অতীতের ফ্যাসিস্ট সরকারের মতো গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের পুনরাবৃত্তি আমরা আর দেখতে চাই না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা উন্মুক্ত করা হোক। তিনি আরও বলেন, ট্রাফিক কন্ট্রোল ইতিবাচক। কিন্তু বারবার চেক করা বিরক্তির কারণ হতে পারে। যারা পয়েন্টে পয়েন্টে ট্রাফিক কন্ট্রোল করছেন সেটি অনেক মহৎ। কিন্তু আপনারা নিশ্চিত করবেন যাত্রী ও ড্রাইভারের সঙ্গে এমন কোনো ব্যবহার করবেন না যেন আমাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও রাষ্ট্র সংস্কারের কাজটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এদিকে আরেক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আজকের ‘সর্বাত্মক অবস্থান’ কর্মসূচিতে বিভিন্ন জায়গায় মানুষের ফোন চেক করে হেনস্তা করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন স্পষ্ট করে বলতে চায়, মানুষের প্রাইভেসি বিনষ্ট হয় এমন কোনোকিছুই আমরা সমর্থন করি না। এমন কাজ পুরোনো বৈষম্যের দৃষ্টান্তকেই আবার নতুনভাবে ডেকে আনছে। তাই ফোন চেক সহ নাগরিকের ব্যক্তিজীবনের স্বাভাবিক যাত্রা বিনষ্ট হয় এমন কিছুই করবেন না। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনের পথে ‘মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের স্বাধীনতা’ নিশ্চিত করা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। তাই সকলকে আহ্বান করা যাচ্ছে, সারাদেশে ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিন এবং স্বাভাবিক জনজীবন যাতে আরও সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হয় তা নিশ্চিতে রাজপথে থাকুন।(মানবজমিন)