• ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত জুলাই ৪, ২০২৪
নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন

নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন

‘দলীয় কাজে আনন্দ পেয়েছে তবে শিক্ষার্থীরা আর পড়ার টেবিলে বসবে না’

ড্রেস্ক রিপোর্ট: শিক্ষাক্রমের আলোকে তৈরি করা মূল্যায়ন পদ্ধতি ও প্রশ্নে প্রথম বারের মতো পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী এই মূল্যায়ন কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে। তবে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকরা যেসব কারণ ও যেভাবে অভিযোগ তুলেছিলেন, ঠিক একইভাবে এই শিক্ষাক্রমের আলোকে মূল্যায়ন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো, শিক্ষার্থীদের আর্থিক অবস্থা, শিক্ষক সংখ্যাসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনায় এনে এই শিক্ষাক্রম ও মূল্যায়ন পদ্ধতি বাস্তবায়নের তাগিদ অভিভাবক ও শিক্ষকদের।

নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী এই সামষ্টিক মূল্যায়নের লিখিত অংশের ওয়েটেজ ছিল ৬৫ শতাংশ। আর কার্যক্রম ভিত্তিক অংশের ওয়েটেজ ছিল ৩৫ শতাংশ। আর মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কার্যক্রম বলতে বোঝানো হয়েছে হাতে-কলমে কাজ।

আমিরুল ইসলাম নামে একজন শিক্ষক বলেছেন, সারা দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় এবার প্রশ্ন দেওয়া হচ্ছে একযোগে।

পরীক্ষা নিতে গিয়ে বিস্মিত হলাম। শিক্ষার্থীরা জানাল, রাতেই তারা ইউটিউবে প্রশ্ন, উত্তর সব পেয়ে গেছে। শিক্ষা উপকরণ হিসেবে শিক্ষার্থীদের বই আনতে বলা হয়েছে। বই খুলে গল্পগুজব করে, হেসেখেলে বাচ্চারা পরীক্ষা দিল।

একাধিক শিক্ষক এই প্রতিবেদককে বলেছেন, শিক্ষার্থীরা আনন্দের সঙ্গে পরীক্ষা দিয়েছে এটা সত্য। তবে এ ধরনের মূল্যায়ন থাকলে শিক্ষার্থীরা আর পড়ার টেবিলে বসবে না। কারণ শিক্ষার্থীরা বুঝে গিয়েছে এই পরীক্ষার জন্য পাঠ্যবই পড়ার প্রয়োজন নেই। শহীদুল হাসান নামে একজন অভিভাবক বলেছেন, ‘আমার সন্তান সিলেবাস অনুসারে প্রিপারেশন নিয়ে গিয়েছিল। এমন পরীক্ষা দেখে সে আর পড়তে চাইবে না।’

ফারহানা হায়দার নামে এক অভিভাবক সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, আসলেই এটা উৎসব ছিল। কোন পরীক্ষা ছিল না। আমার মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পরীক্ষা দিয়ে এসে বলেছে, ‘আম্মু তুমি শুধুই টেনশন কর। দেখ কি প্রশ্ন আসছে। এতে তো কোন পড়াই লাগে না। এমনিতেই পারি। এগুলো বইয়েও নেই।’ এই অভিভাবক বলছেন,