লেখালেখি
আবদুল কাইউম
ভাতের যোগার নিয়ে আজন্ম হিমশিম
খাওয়া মানুষ আমি তোমাকে ভালোবাসা
মানে গরীবের ঘোড়ারোগ সমতুল্য; স্মরণকাল
থেকে বুঝেছিলাম তুমি একটা বিলাসীতার নাম, তবুও সময়ে অসময়ে এসে কেনো আমার
মনমগজে যে হানা দিয়ে ক্ষত বিক্ষত কর?
বিশ্বাস করো তুমি যখন উদয় হও তখন
আমার আহার নিদ্রা চুলায় উঠে, সব সময়
অস্থির লাগে, তোমাকে ছাড়া এক পলকও
ভাবতে পারিানা; তুমি গিলে খাও আমার
জাগতিক ও আধ্যাত্বিক সব অস্থিত্ব!
হে অজাতশ্মশ্রু প্রিয় অ-প্রিয় লেখালেখি
তোমাকে ভালোবাসার যোগ্যতা আমার নেই তবুও ভরা শ্রাবণে কিংবা চৈত্রের খররোদ্রে তোমার ভালোবাসা আমায় ডুবিয়ে দেয়;
আর আমি জেগে উঠি কোনো শ্রমিকের
আর্তনাদ হয়ে কিংবা সমাজে কোনঠাসা অত্যাচারিতের বিদ্রোহী বজ্রকণ্ঠ হয়ে ৷
আমি না চাইলেও তুমি বোধহয় আমৃত্য
আমার সঙ্গ ছাড়বে না? হে ভাবনার সরোবর
প্রিয় লেখালেখি আমার; তুমি জন্ম দিতে থাকো আমার মরুদ্যানসম কঠিন-হৃদে
গুচ্ছ গুচ্ছ রক্তকমল ৷
২১,০২,২৪, লন্ডন ৷