বিভিন্ন সুত্রে জানাযায়,সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর এলাকার হবিবপুর গ্রামের বাসিন্দা ও উপ জেলার মিরপুর ইউনিয়নের হলিয়ারপাড়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার স্বনামধন্য অধ্যক্ষ মাওলানা ড. মইনুল ইসলাম পারভেজসহ মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির কয়েকজনের বিরুদ্ধে একজন প্রবাসী মামলা দায়ের করেন।মামলার জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের হলিয়ার পাড়া গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী মোঃ নুর মিয়া। এর আগে অধ্যক্ষ মাওলানা মইনুল ইসলাম পারভেজ প্রবাসী নুর মিয়ার বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছিলেন।
বিষয়টি জগন্নাথপুর উপজেলার বিশিষ্ট মহল সহ হলিয়ারপাড়া মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতির নজরে এলে সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তির জন্য যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রবাসীদের সাথে আলোচনা হলেও কোন সমাধান হয়নি।এ জন্য প্রবাসী নুর মিয়ার বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ মইনুল ইসলাম পারভেজ বাদী হয়ে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-০৬, ঢাকাতে ৫০ কোটি টাকার মানহানিকর মামলা দায়ের করেন। যার নং-(সিআর ১৫/২৩ হাতিরঝিল)।
এই মামলার খবর পেয়ে প্রবাসী নুর মিয়া বাদী হয়ে তাদের মাদ্রাসার সাহায্যে প্রবাসীদের পাঠানো অনুদানের যৌথ একাউন্টের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে আমল গ্রহণকারী আদালত, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জে (সিআর মামলা নং- ১৫ /২৩ দায়ের করেন।মামলার আসামীরা হচ্ছেন আব্দুর রহিম, আলতাব আলী (আলফু), মোঃ মহি উদ্দিন এমরান, মঈনুল ইসলাম পারভেজ, মোঃ আব্দুল হক, মোঃ আব্দুল আজিজ, আব্দুর রউফ, মোঃ মোজাক্কির হোসাইন।
অধ্যক্ষ ড,মইনুল ইসলাম পারভেজ ও মহিউদ্দিন এমরান এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নেন। অবশেষে ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের জন্য হাজির হলে দীর্ঘ শুনানি শেষে মহি উদ্দিন এমরানের জামিন মঞ্জুর করলেও অধ্যক্ষ মইনুল ইসলাম পারভেজের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন আদালত।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রবাসী নুর মিয়া বলেন, আমরা প্রবাসীরা ট্রাস্ট গঠন করে নিজেরা টাকা জমিয়ে হলিয়ারপাড়া মাদ্রাসার দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য প্রদান করে আসছিলাম। এ টাকা তারা আত্মসাত করে উল্টো আমার উপর ৫০ কোটি টাকার মামলা দিয়ে মানহানি ও হয়রানী করা হয়েছে। বিষয়টি সামাজিক ভাবে সমাধান না করায় আমি মামলা দায়ের করেছি।