লতিফুর রহমান রাজু’,সুনামগঞ্জ: গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত খুব একটা হয়নি, তবে হলেও হালকা থেমে থেমে। সীমান্তের ওপার থেকে পাহাড়ী ঢল নামা অব্যাহত রয়েছে। তাই নদ নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সামসুদদোহা জানান গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৭০ মিলিমিটার, সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল ছিল। বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর । তিনি আরও জানান ভারতের চেরা পূজ্ঞিতে বৃষ্টিপাত হয়নি তাই পরিস্থিতির আরও উন্নতি হতে পারে। সুনামগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কিছু সড়ক ও ঘর বাড়ির আঙ্গিনায় পানি জমে আছে। বিশ্বম্ভরপুর তাহিরপুর সড়কের দুর্গাপুরের ২০০মিটার ডুবন্ত সড়কে পানি থাকার কারণে আজও বিকল্প হিসেবে নৌকায় চলাচল করছে মানুষ। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিউর রহিম জাদিদ জানান, পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে কিন্ত আমরা সার্বক্ষণিক সতর্ক আছি। জেলা প্রশাসন পর্যাপ্ত ত্রান ও বরাদ্দ দিয়েছেন। তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বাসিন্দা কামাল হোসেন জানান, বন্যার কোন আশংকা নেই, এটি স্বাভাবিক বর্ষা।
গত কদিনের অব্যাহত বর্ষণের ফলে সুনামগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার সড়ক ও ঘর বাড়ির আঙ্গিনায় পানি জমে খুব খারাপ অবস্থা। কোনও কোনও কোনও কোনও কোনও এলাকার ঘরের ভেতর ও এখনও পানি আছে। সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার নবীনগর, ধোপাখালী, ষোলঘর, কাজির পয়েন্ট,উকিল পাড়া,পুরাতন জেল রোড, মাছ বাজার, সব্জি বাজার, পশ্চিম বাজার, উত্তর আরপিন নগর, তেঘরিয়া,বড়পাড়া,জামতলা,সুলতান পুর, কালীপুর সহ অন্যান্য এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। পূর্ব সুলতান পুর এলাকার অন্তত ৫০ টি পরিবারের অন্তত ২০০ মানুষ গতকাল রবিবার দুপুর বেলা সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজে আশ্রয় নিয়েছেন। ঐখানের আশ্রয় নেয়া শাহ আলম ও শামীম আহমেদ জানান সোমবার বিকাল পর্যন্ত তাদের কেউ কিছুই দেননি। তবে রাতে জেলা প্রশাসক ও পৌরসভার মেয়র এসে দেখে গেছেন।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী,ও সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত জানান তারা সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। পর্যাপ্ত ত্রান সামগ্রি ও মজুত আছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবেন। আশ্রয় কেন্দ্রের আশ্রীতদের তালিকা করে ত্রান দেয়া হবে।