|| মুহাম্মদ ইলিয়াস-১৭ মে, রাঙামাটি ||
রাঙামাটিতে জেলা আওয়ামী লীগ’র উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনে দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ঐতিহাসি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে।
রাঙামাটি পৌর চত্বরে গত বুধবার (১৭ মে) বিকেলে অনুষ্ঠিত স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের বিশাল সমাবেশে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপঙ্কর তালুকদার এমপি’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন, জাতীয় সংসদ’র হুইপ আবু সাইয়িদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি।
স্বদেশ প্রত্যার্তন দিবসের বিশাল সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি অংশ্রুইপ্রু চৌধুরী।
অন্যান্যের মধ্যে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি হাজী মো: কামাল উদ্দিন, সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা মমতাজুল হক, রফিকুল মাওলা,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদ সদস্য অভয় প্রকাশ চাকমা প্রমূখ।
সাবেক এমপি ফিরোজা বেগম চিনু, কাউখালী উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুদ্দোহা চৌধুরী , রাঙামাটি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আ:লীগ উপ দপ্তর সম্পাদক শহীদুজ্জামান মহসীন রোমান, পৌরসভা মেয়র ও জেলা যুবলীগ সভাপতি আকবর হোসেন চৌধুরী, পৌর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান মাহফুজ, কাপ্তাই উপজেলা সভাপতি অংসু ছাইন চৌধুরী, রাঙামাটি সদর উপজেলা সেক্রেটারি সুখময় চাকমা, জেলা কৃষক লীগ সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি শামসুল আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সেক্রেটারি মো: সাওয়াল উদ্দিন, জেলা মৎস্যজীবি লীগ সেক্রেটারি উদয়ন বড়ুয়া , জেলা যুব লীগ সেক্রেটারি নুর মোহাম্মদ কাজল,জেলা যুব মহিলা লীগ সভাপতি রোকেয়া বেগম ও ছাত্র লীগ সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন।
সমাবেশে বক্তাগন বলেন, ১৯৭৫ এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ৭১’র পরাজিত শক্তি আওয়ামী লীগকে শেষ করকরে চেয়েছিল, কিন্তু তারা সফল হয়নি। দশকের পর দশক দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে। আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছি, তাতে এখন সফল। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতে চেয়েছি, সেই বিচারও কার্যকর করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়েছি, সেই বিচারও করলাম। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ছিল না।শান্তি চুক্তি করে সেই চুক্তি বাস্তবায়নে শান্তি চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে প্রায় সবগুলো ধারাই আমাদের সরকার বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু আমাদের অপর শান্তি চুক্তি মাত্র ১টি ধরা ছিলো অস্ত্র প্রত্যাহার, সেটাও বাস্তবায়ন করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে পদ্মা সেতু , বঙ্গবন্ধু ট্যানেলসহ দেশের সার্বিক উন্নয়ন করেছি। দেশ এখন সম্মৃদ্ধ। যেই পাকিস্তান বাংলাদেশকে পোড়া মাটি বানিয়েছে, সেই পাকিস্তানিরা এখন আমাদের উদাহরণ টানে।দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। যতদিন শেখ হাসিনা দেশ চালাবে, জাতি ততদিন উন্নতি করবে।
বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত স্থায়ী এ বিশাল সমাবেশের পুর্বে দীপঙ্কর তালুকদার এমপি’র নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাঙামাটি পৌর চত্বরে এসে সমাবেশে রূপলাভ করে। সমাবেশ শুরুর আগে জাতীয় সংগীত পরবর্তী উপজাতীয় শিল্পীরা এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে।
উল্লেখ্য ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন।
একইদিন রাবিপ্রবিতেও প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র ঐতিহাসি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান করেছে।