|| মুহাম্মদ ইলিয়াস-১৪ মে, রাঙামাটি ||
রাঙামাটি শহরের তবলছড়ির স্বর্ণটিলায় এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে একটি কারখানাসহ তিনটি বসত ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমবেশি পৌনে ৩ কোটি টাকার সম্পদ। আগুন নেভাতে গিয়ে মো: আব্দুল আজিজ(২৪) নামে এক যুবক অগ্নিদগ্ধ হয়েছে।
পুলিশ, ফয়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, শনিবার দিনগত রাত আনুমানিক আড়াইটার সময় এন মো: জাহাঙ্গীর আলম’র ফার্নিচার বাজার নামক কাঠের দরজার কারখানার বজ্য থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের বিলম্বে পৌঁছানোর কারণে কাঠের দরজা ও চৌকাঠ তৈরির কারখানাটি জ্বলার পর পাশের তিনটি বসত ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে । কাঠের আগুনের লেলিহান শিখার তীব্রতা ছিলো বেশি। সরু রাস্তা ও উঁচু-নিচু জায়গা হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণেও বেগ পেতে হয়েছে। যে কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্বেচ্ছা সেবক ও স্থানীয়রা দীর্ঘ পৌঁনে ২ ঘন্টা ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।
ব্যবসায়ী মো: সগির সহ স্থানীয়রা ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, এই অগ্নকান্ডের সম্ভাব্য কারণের মধ্যে মাদকতাশক্তের সিগারেটের আগুন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট অথবা নাশকতার আশঙ্কা রয়েছে। এটাকে সহজভাবে মেনে নেবার কোন সুযোগ নেই।
দূর্ঘটনা কবলিত মেসার্স ফার্নিচার বাজার’র করখানার প্রোপাইটর এন মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার কারখানার যন্ত্রপাতি, কাঠ, কাঠের তৈরি দরজা ও দরজার চৌকাটগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তিনিও স্থানীয়দের মতো অগ্নিকান্ডের সূত্রপাতের জন্য নেশাখোরদের সিগারেটের আগুন, নাশকাতা বা বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর’র এডি মো: দিদারুল আলম বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও কারণ তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। তিনি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকর্মীদের বিলম্বে উপস্থিতির অভিযোগ অস্বীকার করেন। পৌঁনে ৩ টায় খবর পেয়ে তার বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। বিলম্বে খবর দিলে, সেই দায় দমকল বাহিনীর নয়। সরু রাস্তা এবং রোড পার্কিংয়ের বিষয়টিও তুলে ধরেন এ কর্মকর্তা ।