নিজস্ব প্রতিবেদক:সুনামগঞ্জের ছাতকে সন্ত্রাসিদের ছুরিকাঘাতে নিহত যুবলীগ নেতা লায়েক মিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রধান আসামি করা হয়েছে শহরের মন্ডলীভোগ (জংলিগড়) এলাকার বাসিন্দা তাজ উদ্দিনের পুত্র আব্দুল কদ্দুস শিপলুকে।পৌর কাউন্সিলর, প্যানেল মেয়র, কালিবাড়ি এলাকার গোপিকা রঞ্জন চৌধুরীর পুত্র তাপশ চৌধুরী,সংসদ সদস্যের ভাতিজা হাসপাতাল রোডের মুজিবুর রহমানের পুত্র,তানভির রহমানসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে নিহতের ভাই আজিজুল ইসলাম বাদি হয়ে ছাতক থানায় এ মামলা (নং-২৫) দায়ের করেন।

(ছবিঃআব্দুল কুদ্দুছ শিপলু ও পৌর কমিশনার তাপশ চৌধুরী)
এ ছাড়া শহরের বাগবাড়ি এলাকার আব্দুল কাহার রঞ্জু মিয়ার পুত্র সাদমান মাহমুদ সানি,কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও গ্রামের উস্তার আলীর পুত্র আলা উদ্দিন, মন্ডলীভোগ এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মসজিদে পুত্র আবুল খয়ের টুটুল,এরশাদ আলীর পুত্র তাজ উদ্দিন, নাজিম উদ্দিনের পুত্র মিজান মিয়া, আকরিদ আলীর পুত্র সাব্বির, ভাসখালা গ্রামের আলকাছ আলীর পুত্র আব্দুল মতিন,মন্ডলীভোগ এলাকার তাজ উদ্দিনের বাবলু, নাজিম উদ্দিনের পুত্র মনুজু,মজম্মিল আলীর পুত্র শামসুল ইসলাম, নাজিম উদ্দিনের পুত্র,সায়মন, মিলন মিয়া,মহসিন,নুর মিয়ার পুত্র সৌরভ ও আজমান আলীর পুত্র এরশাদ আলীকে এজাহার ভুক্ত আসামি করা হয়েছে।
পূর্ব বিরোধের জের ধরে ২৮ মার্চ মঙ্গলবার রাতে থানা সংলগ্ন গনেশপুর খেয়াঘাটে প্রতিপক্ষের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে খুন হন উপজেলা যুবলীগ নেতা ও ছাতক পৌর সভার ৭ নং ওয়ার্ডের একাধিক বারের কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারি লায়েক মিয়া। তিনি মন্ডলীভোগ এলাকার মৃত আবদুল মান্নানের পুত্র। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে প্রধান আসামি শিপলুর দাদা এরশাদ আলী ও বাবা তাজ উদ্দিনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে, লায়েক হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকালে ছাতক উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে দলীয় সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

আজ শনিবার মণ্ডলীভোগ যুব ও সমাজ কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবু সাঈদ বলেন, লায়েক হত্যার ঘটনায় তার ভাইয়ের দায়ের করা মামলা রেকর্ড করা হয়েছে (মামলা নম্বর ২৫)। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।