• ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

অল্প ভোটে হেরে গেলেন হিরো আলম

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩
অল্প ভোটে হেরে গেলেন হিরো আলম

 

প্রতীক ওমর, বগুড়া থেকে:বগুড়া-০৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপ-নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেনের কাছে অল্প ভোটে হেরে গেলেন আশরাফুল ইসলাম ওরফে হিরো আলম। হিরো আলমের জয়লাভের খবর সন্ধ্যার পর থেকেই নানাভাবে আসছিলো। সর্বশেষ ১ হাজার ২৪৬ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী মহাজোট প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেনের কাছে হেরে গেলেন। রেজাউল করিম তানসেন মশাল প্রতীকে পেয়েছেন ১৮হাজার ৬৩৫ ভোট আর হিরো আলম একতারা প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৩৮৯ ভোট। বগুড়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।

তবে হিরো আলম এই ফলাফলকে কোনভাবেই মেনে নেননি। জোরালোভাবে বলেছেন, তিনি হারেননি, তাকে হারিয়ে দেয়া হয়েছে।

এক সময় নিজ এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করেছেন তিনি। একাধিক বার পরাজিত হয়েছেন ওই নির্বাচনে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি বগুড়া-০৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেন। ওই নির্বাচনের দিন হিরো আলম দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন। আহত হয়ে ভোট বর্জন করেছিলেন।

এবার বিএনপি প্রার্থীদের একযোগে সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় বগুড়া-০৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) এবং বগুড়া-৬ সদর আসন শুণ্য হলে তিনি দু’টি আসন থেকেই মনোনয়নপত্র তোলেন। প্রাথমিক বাছাইয়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে সেখানেও বাতিল হয় তার প্রার্থীতা। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের দারস্থ হলে তিনি নির্বাচন করার যোগ্যতা ফিরে পান। তারপর রাত-দিন এক করে আসন দু’টিতে নির্বাচনী প্রচারণা চালান তিনি। তার সঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা এসে প্রচারণায় যোগ দেন। তাকে এক নজর দেখার জন্য উৎসুক জনগণ ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতো। শত শত তরুণ-তরুণী এমন কি প্রশাসনের লোকজনও তার সঙ্গে সেলফি তুলতে ভুল করেননি। মোটাদাগে বগুড়ার দু’টি আসনের নির্বাচনী প্রচারণায় হিরো আলম মানুষকে মাতিয়ে তুলেছিলেন। দৈনিক মানবজমিন)