আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের পেশাওয়ার পুলিশ লাইন্স এলাকার এক মসজিদে নামাজের সময় শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে অন্তত ৪৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫৭ জন। ভয়াবহ বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে তেহরিক ই তালেবান পাকিস্তান। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ডন বলছে, বিস্ফোরণের পর ওই এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এছাড়া এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে। আহতদের লেডি রিডিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উদ্ধারকর্মীরা বলেছেন, জোহরের নামাজের এই বিকট বিস্ফোরণ হয়। হামলাকারী নামাজের সময় সামনের সারিতে অবস্থান করেছিল। এরপর তিনি নিজেকে উড়িয়ে দেন।
প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন, এই হামলা আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ছিল। কর্মকর্তারা বলছেন, বিস্ফোরণের শব্দ এতো বিকট ছিল অনেক দূর থেকে শব্দ শোনা গেছে। এ ছাড়া বিস্ফোরণের শব্দও শোনা গেছে বলে জানান তারা।
লেডি রিডিং হাসপাতালের মুখপাত্র মোহাম্মদ আসিম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বিস্ফোরণে আহত ১৫৭ জনের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।
দেশটির পুলিশ কর্মকর্তা সিকান্দার খান বলেন, বিস্ফোরণে ভবনের কিছু অংশ ধসে পড়েছে এতে অনেকে আটকা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ডনের এক সংবাদদাতা জানান, জোহরের নামাজের সময় বেলা ১ টা ৪০ মিনিট নাগাদ এই বিস্ফোরণ ঘটে।
এদিকে হামলার ঘটনার কড়া নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। তিনি আত্মঘাতী হামলাকে নিকৃষ্ট বলে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন, দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খান।