আতিকুর রহমান মাহমুদ, ছাতক থেকে:ছাতক উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সেবা গ্রহীতাদের ভিড় লেগেই থাকে। জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম, পিতা-মাতার নাম ও ঠিকানায় ভূল তথ্য থাকায় সংশোধনসহ বিভিন্ন কাজে ভিড় করেন মানুষেরা। জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত কালে ভোটারের নাম ঠিকানা তথ্য প্রদান ভূল ও কম্পিউটার অপারেটরের মাধ্যমে ভূল
তথ্য লিপিবদ্ধ করায় মাশুল দিতে হচ্ছে এখন। সন্তানদের স্কুল কলেজ ও মাদরাসায় ভর্তি, পাসপোর্ট তৈরিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন কাজ সম্পাদনে নিজেদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে অভিভাবকরা প্রতিনিয়ত আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে উপজেলা নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে। একজন সহকারী নির্বাচন অফিসারের অভাবে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিশাল অঞ্চলের
নাগরিকদের সেবা দিতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন এখানের নির্বাচন অফিসার মোঃ ফয়েজুর রহমান।
তিনি নিয়মিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সপ্তাহে শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটির দিনেও কাজ করে যাচ্ছেন।
ছাতক উপজেলা নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১২ জানুয়ারি ২০২০ সাল থেকে এখানে নির্বাচন অফিসারের দায়িত্বে আছেন মোঃ ফয়েজুর রহমান। ২০২২ সালের জুন থেকে অফিস
সহকারির দায়িত্বে আছেন তৌহিদুল ইসলাম। ডাটা এন্টি ও অপারেটরের দায়িত্বে রয়েছেন তানিয়া আক্তার ও একরাম হোসেন। ২০১৯ সাল থেকে তানিয়া আক্তার ও ২০২২ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন
একরাম হোসেন। এছাড়া ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে স্ক্যানিং অপারেটর হিসেবে কর্মরত আছেন আবিদ নূর। চলতি জানুয়ারি মাসে এখানে পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে স্বপন ও নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে যোগদান করে দায়িত্ব পালন করছেন আলমগীর। কার্যালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, এবার ৩৩হাজার ১৮জন
নতূন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে ভোটার তালিকায় অন্তভূক্ত হয়েছেন ২৪হাজার ৭৮জন। ১৮ বছর
পূর্ণ হলে অন্যান্য ভোটারদের নাম তালিকায় অন্তভূক্ত করা হবে। উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের বাসিন্দা আজির উদ্দিন, ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের আতিকুর রহমান, উত্তর খুরমা ইউনিয়নের মোশাহিদ আলী,
দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের নূর উদ্দিনসহ একাধিক সচেতন ব্যক্তিরা জানান, সম্প্রতি সময়ে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুতকালে সঠিক তথ্য দেওয়ার পরও অনেকের ভূল তথ্য লিপিবদ্ধ হয়েছে। অদক্ষ কর্মীদের ভূলের কারণে সাধারণ মানুষ এখন মাশুল দিতে হচ্ছে। তারা আরও বলেন, জন্ম-নিবন্ধন ও সংশোধনের জন্য উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে এভাবে ভূক্তভোগি মানুষ প্রতিনিয়ত ভিড় করছেন।
এ ব্যাপারে ছাতক উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ ফয়েজুর রহমান এ
প্রতিবেদককে বলেন, তিনি নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ভোটার স্থানান্তর, সংশোধন আবেদনসহ
প্রতি মাসে এখানে সাড়ে ৬শ’ থেকে ৭শ’ পর্যন্ত বিভিন্ন আবেদন জমা হয়। নিয়মিত দায়িত্ব পালনের পরও প্রতি শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটির দিনে জাতীয় পরিচয় পত্রের সংশোধন আবেদন ও সংশোধন তদন্ত
তিনি সরজমিন করেন। তিনি আরও বলেন, নাগরিকদের দ্রুত সেবার জন্য এখানে একজন সহকারি নির্বাচন অফিসার নিয়োগ দেওয়া খুব প্রয়োজন। পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নে একজন।