বিবিএন ডেস্ক ::বাংলাদেশ তার প্রতিবেশীর সাথে কানেকটিভিটির সম্পর্ক আরো বাড়াতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সাথে বাংলাদেশের ভাষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের সম্পর্ক রয়েছে। তাদের সাথে বিদ্যমান এ সম্পর্ক আমরা আরো বাড়াতে চাই।
![](https://bilatbanglanews.com/wp-content/uploads/2022/12/inbound1376448540427037032-300x225.jpg)
শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের আসাম রাজ্যের শিলচরে তিনদিনব্যাপী ‘শিলচর সিলেট উৎসব-২০২২’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাশেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
![](https://bilatbanglanews.com/wp-content/uploads/2022/12/inbound8529382316847172809-300x225.jpg)
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অনেক লোকই-কলকাতা, ব্যাঙ্গালোরোসহ অন্যান্য স্থানে বেড়াতে যায়। কিন্তু, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দিকে বেড়াতে আসে না। এ সম্পর্ক বাড়ানোই সিলেট-শিলচর উৎসবের মূল লক্ষ্য।
![](https://bilatbanglanews.com/wp-content/uploads/2022/12/inbound3457449388499771875-300x225.jpg)
গত সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের প্রসঙ্গ আলোকপাত করে মন্ত্রী বলেন, সে সময় প্রধানমন্ত্রী ভারতের সংস্কৃতি, পর্যটন ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডির সাথে বৈঠকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সাথে সম্পর্ক বাড়ানোর বিষয়ে আলোকপাত করেন। তার আলোকেই বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে শিলচরে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
![](https://bilatbanglanews.com/wp-content/uploads/2022/12/inbound7929943186164228909-300x225.jpg)
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ শান্তিপ্রিয় দেশ। আমরা স্থিতিশীলতায় বিশ্বাসী। গত ১৪ বছর ধরে আমাদের দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিদ্যমান আছে। যে কারণে দেশের বিপুল উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের আয় ও জিডিপি বেড়েছে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকায় বাংলাদেশের পাশাপাশি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোও লাভবান হয়েছে। বর্তমানে সরকার দেশে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চায় জানিয়ে তিনি বলেন,
![](https://bilatbanglanews.com/wp-content/uploads/2022/12/inbound8682902457494889356-225x300.jpg)
‘আমাদের দেশে কিছু উগ্রবাদী লোক আছে, যারা এগুলো দেখেও দেখে না। শুনেও শুনে না। এরা সব সময় সুযোগ খুঁজে। এদের ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
এদিকে, সন্ধ্যায় শিলচর পুলিশ এদিকে, সন্ধ্যায় শিলচর পুলিশ প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত মৈত্রী উৎসবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ছাড়াও মিজোরামের গভর্ণর হরি বাবু কাম্বাবপতি,
![](https://bilatbanglanews.com/wp-content/uploads/2022/12/inbound2861496062028770560-300x255.jpg)
ভারতের কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি, পর্যটন ও উন্নয়ন মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি, আসাম সরকারের যোগাযোগ, এক্সাইজ ও মৎস্য মন্ত্রী পরিমল শুল্ক বৈদ্য, বাংলাদেশের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, ইকবালুর রহিম ও দেওয়ান শাহনেওয়াজ মিলাদ গাজী, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান ,সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাহমিন আহমদ উদ্বোধনী মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন-লোকসভায় শিলচরের সংসদ সদস্য রাজদ্বীপ রায়।
![](https://bilatbanglanews.com/wp-content/uploads/2022/12/inbound2935185230566304897-300x169.jpg)
আসাম রাজ্য সরকারের যোগাযোগ, এক্সাইজ ও মৎস্য মন্ত্রী পরিমল শুল্ক বৈদ্য বলেন, অতীতে ১২ থানার অধীনে ছিল সিলেট-শিলচর। এরমধ্যে বর্তমানে বদরপুর, করিমগঞ্জ ও পাথারকান্দি নিয়ে শিলচর গঠিত। সিলেট ও শিলচরের সংস্কৃতি প্রায় এক ও অভিন্ন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
![](https://bilatbanglanews.com/wp-content/uploads/2022/12/inbound8654519788377099215-300x169.jpg)
লোকসভার সদস্য রাজদ্বীপ রায় বলেন, বাংলাদেশ তথা ভারতবর্ষের উত্থানের দিকে সারাবিশ্ব তাকিয়ে আছে। এই মোক্ষম সময়ের সুযোগ নিতে না পারলে আমরা উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে দাঁড়াতে পারবো না। এজন্য দুদেশকেই একযোগে কাজ করতে হবে।
![](https://bilatbanglanews.com/wp-content/uploads/2022/12/inbound196408466514956402-300x225.jpg)
অনুষ্ঠানে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী বীরবিক্রম, রুপালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আহমদ আল কবির, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাজ উদ্দিন, সিলেট চেম্বারের সাবেক সভাপতি এটিএম শোয়েব, আওয়ামী লীগ নেতা জগলু চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজ, চেম্বারের বর্তমান সহ-সভাপতি আতিক হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি হিজকিল গুলজার ও চন্দন সাহা, পরিচালক দেবাংশু দাস মিঠু, উইমেন্স চেম্বারের প্রেসিডেন্ট স্বর্ণলতা রায়, সীমান্তিকের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, দৈনিক সিলেটের ডাক-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন ও মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাহাত তরফদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।প্রসঙ্গত, ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপনের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ মৈত্রী উৎসব। ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, নতুন দিল্লী ও বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সহযোগিতায় আয়োজন করা হয়েছে এ মৈত্রী উৎসবের। বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শুরু হয়।
এই উৎসবে দুই অঞ্চলের আদিবাসী সংস্কৃতি তুলে ধরার পাশাপাশি আলোচনায় অংশ নেবেন দুই দেশের বিশিষ্টজনেরা। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পর্যটন, নদী, পানি ও জলবায়ু সংক্রান্ত বিষয়াদি আলোচনায় উঠে আসবে।
উৎসবটি ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শুরু হয়ে শেষ হবে ৪ ডিসেম্বর বিকেলে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের নেতৃত্বে ১৫০ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল সম্মেলনে যোগ দিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার বেলা ১টায় সুতারকান্দি ইমিগ্রেশন দিয়ে শিলচরে প্রবেশ করেন। এ সময় গৌহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার রুহুল আমিন, সাবেক সহকারী হাইকমিশনার শাহ মো. তানভীর হোসেন ও ভারতের প্রতিনিধিরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। প্রতিনিধি দলে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য, শিক্ষাবিদ ও শিল্প উদ্যোক্তারা শিলচর এসেছেন। সিলেট চেম্বার সভাপতি তাহমিন আহমদের নেতৃত্বে ৩৫ সদস্যের ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক প্রতিনিধি দল উৎসবে যোগ দিয়েছে। সম্মেলনের তৃতীয় দিনের ‘ট্রেড ও কমার্স’ সংক্রান্ত সেশনে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী অংশ নেবেন।
অপরদিকে, ভারতের তরফ থেকে দিল্লীর কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিসহ আসাম, মণিপুর ও মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীরা থাকবেন এই উৎসবে। আসামের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কের যে নতুন দুয়ার খুলছে এটি তার প্রথম পদক্ষেপ বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।