বিবিএন ডেস্ক: এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আজ শুরু হয়েছে। এবার পরীক্ষার্থী ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ২২ হাজার ৭৯৬ ও ছাত্রী ৫ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ জন। ৯ হাজার ১৮১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এসব পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৬৪৯ কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জানান, পরীক্ষার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি পরীক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট আগে নিজ নিজ আসনে বসার পরামর্শ দিয়েছেন।
জানা গেছে, ১১ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭১৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ৮২ হাজার ১৮৩ ও ছাত্রী ৫ লাখ ৩ হাজার ৫৩০ জন। ২ হাজার ৬৭৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এসব শিক্ষার্থী ১ হাজার ৫২৮ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেবে।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ৯৪ হাজার ৭৬৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৫১ হাজার ৬৯৫ ও ছাত্রী ৪৩ হাজার ৬৮ জন। ২ হাজার ৬৭৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থী ৪৪৮ কেন্দ্রে অংশ নেবে।
আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) এইচএসসি (ভোকেশনাল), ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স পরীক্ষায় মোট এক লাখ ২২ হাজার ৯৩১ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৮৮ হাজার ৯১৮ ও ছাত্রী ৩৪ হাজার ১৩ জন। ১ হাজার ৮৫৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬৭৩ কেন্দ্রে অংশ নেবে পরীক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে এবারও পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করার বিধান রাখা হয়েছে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তাদের নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্টারে লিখে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। পরে তাদের তথ্য ওই দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন আকারে পাঠানো হবে।
এ ছাড়া পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিটি আগে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র প্রধানের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে/সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের অনুরোধ করা হলো।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের এমসিকিউ ২৫টির মধ্যে ১৫টির উত্তর দিতে হবে। সময় ২০ মিনিট। তত্ত্বীয় পরীক্ষায় ৮টি প্রশ্নের মধ্যে ৩টির উত্তর দিতে হবে। সময় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। আর মানবিক ও ব্যবসায় শাখা পরীক্ষার্থীদের এমসিকিউ ৩০টির মধ্যে ১৫টির উত্তর দিতে হবে। সময় ২০ মিনিট। তত্ত্বীয় পরীক্ষায় ১১টি প্রশ্নের মধ্যে ৪টির উত্তর দিতে হবে। সময় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। তিনি আরও জানান, বিশেষভাবে অক্ষম পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী ভাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণপ্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বাড়ানো হয়েছে।
প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বাড়ানোসহ শিক্ষক/অভিভাবক/সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।