আরিফুর রহমান মানিক,ছাতক(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি ::
প্রতিনিয়ত তীব্র হচ্ছে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাকুন্দা ও বটের নদীর ভাঙ্গন কবলে পড়েছে ৫টি গ্রাম। মাকুন্দা ও বটের দুটি নদীর নতুন নতুন এলাকা ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে বিলীন হচ্ছে ৫টি গ্রামের দুই শতাধিক বসতভিটা, ফসলী জমি, হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা ও পাকা সড়ক ভাঙ্গনে কবলে পড়েছে। এতে বাস্তুহারা হচ্ছেন ছাতক শিল্প নগর অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। উপজেলা ছৈলা আফজলাবাদ ইউপির গোবিন্দগঞ্জ লাকেশ্বর পাকা সড়ক সহ হচ্ছে লাকেশ্বর,বড় পলিরগাউ,শ্রীনগর,কল্লা,ছোট পলিরগাউসহ গ্রাম পাড়া মহল্লায় গুলোর ভাঙ্গনে পড়ে।
জানা যায়,মাস আগে বোরো জমির জমাকৃত হাওরে পানির চলাচলে নালা খাল বন্ধ করেন। এ খালে মৎস চাষা,খাল পানি বন্ধ জোরপুবক একটি ঘর তৈরি করায় এ সমস্যা দেখা দেয়।
এলাকার অভিযোগে উল্লেখ্য করেন লাকেশ্বর গ্রামের মনির উদ্দিনের পুত্র সুহেল মিয়ার নেতৃত্বে হাওরের পানির নালা ও খাল বন্ধ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এ ভুমিখেকোর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় গত ৩১ অক্টোবর সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে বাদী হয়ে লাকেশ্বর গ্রামের মনির উদ্দিনের পুত্র সুহেল মিয়াকে আসামী করে এলাকাবাসি পক্ষে আকবর আলী মনাইসহ দেড় শতাধিক মানুষ
স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এলাকার ভাঙ্গনের কবলে হারাতে বসেছে বাড়ি ঘর ফসলের জমি। এর মধ্যে তীব্র ভাঙ্গন আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে চিরন্তন সংগ্রামের মধ্যে টিকে রয়েছেন এসব গ্রামের মানুষ। তবে এখন ভাঙ্গনের তীব্রতায় সেই সংগ্রাম যেন মাত্রাতিক্তভাবে বাড়ছে। নদীর তীব্র স্রোত আর জোয়ারের পানিতে প্রতি বছর বিলীন হচ্ছে এখানকার গ্রাম, হাট-বাজার, পাকা ও কাঁচা সড়ক, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মন্দির, বেড়িবাঁধসহ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা। স্থানে স্থানে বালু ভর্তি বস্তা ফেলেও ভাঙ্গন ঠেকানো যাচ্ছে না।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক অফিসে সুত্রে নাম প্রকাশ না করার শতে এ অভিযোগপ্রাপ্তির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন তদন্তপুবক ব্যবস্থা নেয়া হবে।