• ২০শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৬শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

সিলেট বিভাগের দীর্ঘতম রানীগঞ্জ সেতুর কাজ সম্পন্ন,২৯ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী উদ্ধোধন করবেন

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত অক্টোবর ২২, ২০২২
সিলেট বিভাগের দীর্ঘতম রানীগঞ্জ সেতুর কাজ সম্পন্ন,২৯ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী উদ্ধোধন করবেন
লতিফুর রহমান রাজু, সুনামগঞ্জ: সিলেট বিভাগের দীর্ঘ তম রানীগঞ্জ সেতুর কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।
আগামী ২৯ অক্টোবর সুনামগঞ্জ বাসীর স্বপ্নের রানীগঞ্জ সেতু ভার্চুয়ালী    উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রতিদিন দুপুর থেকে সন্ধা পর্যন্ত দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থী কুশিয়ারা নদীর তীরে সেতু দেখার জন্য ভিড় করছেন। খরস্রোতা-প্রমত্বা কুশিয়ারা নদীর অভূতপূর্ব দৃশ্য অবলোকনে এ সেতু দর্শনার্থীদের অন্যতম আকর্ষণ। একদিকে সেতুর সৌন্দর্য যেমন দৃষ্টি কাড়ছে, অন্যদিকে কুশিয়ারা স্বচ্ছ জলরাশিও টানছে সবার মন।
কুশিয়ারা সেতু উদ্বোধনের খবর শুনে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান সুনামগঞ্জের সকল জনসাধারন তারা বলেন, কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনে ‘বাপদাদার ভিটেমাটি হারিয়ে শুরুতে কষ্ট থাকলেও এখন আমরা অনেক খুশি ও গর্ববোধ করছি। স্বাধীনতা পর আমরা স্বপ্ন ছিল কুশিয়ারা নদীর উপর দিয়ে রাজধানী ঢাকাতে যাওয়া আসা করবো এখন আর সেটা স্বপ্ন নয় বাস্তবে রুপ নিয়েছে।
এদিকে, ইট-পাথরের নগর জীবন থেকে মুক্ত পরিবেশে কুশিয়ারা নদীর পাড়ে এ সেতুর সৌন্দর্য অবলোকন করতে রানীগঞ্জ দক্ষিণ পাড় ও উত্তর পাড়ে সেতুর আশপাশের এলাকায় প্রতিদিনই দর্শনার্থীদের ভিড় যেন মিলনমেলায় রুপ নেয়।
পরিবার নিয়ে আসা সুনামগঞ্জের প্রভাব দেব নাথ বলেন, স্বপ্নের রানীগঞ্জ সেতু শুধু যোগাযোগ বৈপ্লবিক পরিবর্তনই আনবে না, সে সাথে এটি ঘিরে পর্যটন শিল্পের বিশাল এক সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাচ্ছে। কুশিয়রা নদীর পাড়ে নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলার ছুটাছুটি যে কাউকেই আকৃষ্ট করে। এখানে আসার এক্সপ্রেসওয়ে সড়কটিও অসাধারণ।
জগন্নাথপুর থেকে ঘুরতে আসা জামাল উদ্দিন বেলাল বলেন, গণমাধ্যমে প্রতিদিনই রানীগঞ্জ সেতুর খবর পাই। আজ বাস্তবে দেখার জন্য সকালেই ছুটে আসি পরিবার নিয়ে। সেতুর উপরে উঠতে পারলে খুব ভালো লাগতো। নিরাপত্তার কারণে  কাউকে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না।
জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হাজী রেজাউর করিম রিজু জানান, আমরা শুনেছি আগামী ২৯ অক্টোবর সেতু উদ্বোধন হবে। আমাদের দীর্ঘ দিনের স্বপ্নের সেতু এভাবে উদ্ধোধন হবে মেনে নিতে পারছিনা। বর্তমান সময়ে আমরা নৌকা নিয়ে নির্বাচন মাঠে কাজ করতেছি এখনো একটি পথসভায় আছি। আমাদের ইচ্ছা ছিল জাকজমক ভাবে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বড় অনুষ্ঠান করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করবো এটা আর করা হল না। তারপর চেষ্টা করবো সবাইকে নিয়ে আমাদের স্বপ্নের সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করার।
সড়ক ও জনপথ  অধিদপ্তরের সুনামগঞ্জ জেলার নির্বাহী প্রকোশলী মো. আশরাফুল ইসলাম প্রামাণিক জানান, আগামী ২৯ তারিখ আমাদের জেলায় নয় সারা দেশে প্রায় একশো  সেতু উদ্বোধন হবে। স্বল্প আকারে রানীগঞ্জ সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সেতু উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমরা চেষ্টা করবো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করে করার।
শ্রমিক লীগ জগন্নাথপুর উপজেলা সভাপতি নুরুল হক বলেন এই সেতু উদ্বোধন হলে মানুষের জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে। শিল্প কারখানা গড়ে ওঠা সহ ব্যবসায় বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। প্রবাসীদের জন্য ও সুবিধা হবে তারা বিনিয়োগ ও করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং তৎকালীন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বর্তমান পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ৭০২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০.২৫ মিটার বক্স গার্ডার সেতুটি দেড়শ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে। সেতুটি চালুর পর সুনামগঞ্জ থেকে ঢাকার দুরত্ব কমবে ৮০ কিলোমিটার। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে এমএম বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।