• ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১লা শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

যুক্তরাজ্যে আবার ক্ষমতায় আসছেন বরিস জনসন?

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত অক্টোবর ২২, ২০২২
যুক্তরাজ্যে আবার ক্ষমতায় আসছেন বরিস জনসন?

বিবিএন ডেস্ক: ব্রিটেনে আবার ক্ষমতায় ফিরছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন! এরই মধ্যে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের টিকেট কাটার জন্য তিনি ৫০ জন এমপির সমর্থন পেয়েছেন। যদি নিজের কনজার্ভেটিভ দলের ১০০ এমপির সমর্থন বাগিয়ে নিতে পারেন, তাহলে তিনিই হতে পারেন বৃটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী। যদি তা পারেন, তাহলে তিনি হবেন বৃটেনের ইতিহাসে তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী, যারা এভাবে ক্ষমতা ছেড়ে আবার ক্ষমতায় এসেছেন। এমন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন উইনস্টন চার্চিল। দ্বিতীয়জন ছিলেন লেবার দলের হ্যারল্ড উইলসন।

অনলাইন ডেইলি মেইল লিখেছে, এরই মধ্যে ফেভারিট ঋষি সুনাকের সঙ্গে ‘গেট ব্যাক টুগেদার’ শুরু করেছেন বরিস জনসন। অর্থাৎ তিনি ঋষি সুনাকের সমর্থন চেয়েছেন এবং বিরোধী লেবার দলের বিরদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন। তবে দলের ভিতরে অন্য আভাস। কিছু কনজার্ভেটিভ প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন। তারা বলেছেন বরিস জনসন যদি জয়ী হন, তাহলে তারা পদত্যাগ করবেন।পরস্পর বিরোধী এই রাজনীতি ব্রেক্সিটের পর গ্রাস করেছে বৃটেনের রাজনীতিতে।

এরই ধারাবাহিকতায় ঘন ঘন সেখানে প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন হয়েছেন। ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ দলের এই আভ্যন্তরীণ দ্ব›দ্ব নিয়ে সতর্কতা দিয়েছেন ইউরোপিয়ান নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে নতুন করে টিকে থাকতে হলে বরিস জনসনকে ১০০ এমপির সমর্থন আদায় করতে হবে। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত তিনি ৫০ জন এমপির সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন। ঋষি সুনাক পেয়েছেন ৩৯ জন এমপির সমর্থন। আর পেনি মর্ডন্ট পেয়েছেন ১৭ জনের  সমর্থন। ফলে দৃশ্যত এখন পর্যন্ত এ দৌড়ে প্রথম স্থানে আছেন বরিস জনসন। তিনি বৃহস্পতিবার রাতে নতুন করে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিস্ময়করভাবে ফেরার চেষ্টা শুরু করেছেন।

ব্যক্তিগতভাবে কনজার্ভেটিভ এমপিদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তাকে সমর্থন দিতে। এর মধ্যে আছেন তার প্রতিদ্ব›দ্বী ঋষি সুনাকও। তাদের কাছে সমর্থন চেয়েছেন। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে তিনি ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করেছেন। তবে জাতীয় নির্বাচনে বিরোধী লেবার দলের নেতা স্যার কিয়ের স্টর্মারের বিরুদ্ধে তিনিই বিজয়ী হতে পারবেন বলে দাবি করেছেন।