গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন মানুষ।চুলা তলিয়ে গেছে। রান্নাবান্না বন্ধ। ঘরে নেই শুকনা খাবারও। নলকূপ তলিয়ে যাওয়ায় সুপেয় পানির অভাব দেখা দিয়েছে।এমন অবস্থায় বন্যার পানিতে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় সেনাবাহিনী নামানো হচ্ছে। জেলা প্রশাসক মো.মজিবর রহমান আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে,গতকাল রাত থেকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা,বিশ্বনাথের বিভিন্ন ইউনিয়ন নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।পানিতে আটকা পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক উপচে পানি তীব্র বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে এ সড়কে ঝুঁকি নিয়ে সীমিত পরিসরে যান চলাচল করছে।
এদিকে,বন্যার্ত মানুষদের উদ্ধারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সিলেটের জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন অনেকেই। তাঁরা বলছেন, বন্যার্ত মানুষকে যত দ্রুত সম্ভব নৌ-বাহিনী ও সেনাবাহিনীকে দিয়ে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসার জন্য।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ শুক্রবার সকাল ছয়টার তথ্য অনুযায়ী, সুরমা নদীর দুটি ও কুশিয়ারা নদীর একটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া সারি নদের একটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার অন্যান্য নদ-নদীর পানিও ক্রমশ বাড়ছে বলে পাউবোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বানভাসি মানুষেরা জানিয়েছেন, বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় অনেকে বাড়িঘরে আটকা পড়েছেন। তাঁরা এ অবস্থা থেকে উদ্ধার চান। এ ছাড়া অনেক বন্যার্ত খাবার ও পানির সংকটে সবচেয়ে বেশি পড়েছেন। ঘরে হাঁটু থেকে গলাসমান পানি ওঠায় অনেকে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। অনেকে ত্রাণও পাচ্ছেন না। এতে তৈরি হয়েছে চরম মানবিক বিপর্যয়। পানি যত বাড়ছে, সংকটও তত বাড়ছে।
এব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন আন্তরিকভাবে কাজ করছে। যাদের বাড়িঘরে পানি উঠেছে, তাঁদের আশ্রয়কেন্দ্রে নতুবা নিরাপদ স্থানে চলে আসতে বলা হচ্ছে। খাদ্যসংকট দূর করতে দেওয়া হচ্ছে ত্রাণ সহায়তা। সেনাবাহিনী দ্রুত উদ্ধার তৎপরতা শুরু করবে।