• ২৪শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১লা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

শেষ পর্যন্ত তলিয়ে গেছে সুনামগঞ্জের হুরামন্দিরা হাওরের ৩ হাজার হেক্টর জমির ধান

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত এপ্রিল ১৮, ২০২২
শেষ পর্যন্ত তলিয়ে গেছে সুনামগঞ্জের হুরামন্দিরা হাওরের ৩ হাজার হেক্টর জমির ধান

লতিফুর  রহমান  রাজু, সুনামগঞ্জ:: গত কদিন ধরেই নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন হাওর পাড়ের কৃষক, শ্রমিক প্রশাসন ও পাউবোর কর্মকর্তা গণ। পাহাড়ি ঢলের প্রচন্ড চাপে সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন নদ নদীর পানি দ্রুত হাওরে প্রবেশ করার খবরে সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাব

 ফসল রক্ষাবাঁধের কাজ আরও মজবুত করার জন্য কাজ করছিলেন। গতকাল রবিবার তাহিরপুর উপজেলার টাংগুয়ার হাওরের গুরমার হাওরের বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করে হাওরে ঢুকে। ঠিক এমনই সময় আরও কয়েকটি বাধেঁর অবস্থাও খুব ঝুঁকিপূর্ণ।
শেষ পর্যন্ত প্রাণপন লড়াই করে ও শেষ রক্ষ
 হল না।
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের সাতবিলা বেড়িবাঁধ ভেঙে হুরামন্দিরা হাওরের ৩ হাজার হেক্টর বোরো জমি তলিয়ে গেছে। রবিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে বাঁধটি ভেঙে হাওরে পানি ঢুকে।

উপজেলার সীমান্ত দিয়ে বহমান কামারখালী নদীর পাড়ের ওই হাওর রক্ষা বাঁধটি ভেঙে হাওরে পানি ঢুকার খবর পেয়ে এলাকাবাসী সর্বাত্মক চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা করা যায়নি।

দিরাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নাহিদুল ইসলাম জানান, হুরামন্দিরায় প্রায় এক হাজার পঞ্চাশ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছিল। তবে স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, হাওরটিতে অন্ততঃ ৩ হাজার হেক্টর বোরো জমি রয়েছে। যার অন্তত ৭০শতাংশ কাটা হয়নি। কৃষক আনিছুর রহমান লিটন বলেন, হুরামন্দিরায় আমার ২০একর জমি ছিল। এরমধ্যে ২একরের মতো কাটা হয়েছে। বাকি সবটুকু তলিয়ে গেছে। এর আগে প্রথম দফায় দলের পানিতে উপজেলার চাপতির হাওরের বাঁধ ভেঙে প্রায় ৫হাজার হেক্টর বোরো ফসল তলিয়ে যায়।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান আমরা খুব বিপজ্জনক অবস্থার মধ্যে আছি,হাওরের সব গুলো বাঁধই ঝুঁকিপূর্ণ  যে কোন সময় বাঁধ ভেঙ্গে কিংবা বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করে ফসল তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি আরও জানান টাঙ্গুয়ার হাওর ও যাদুকাটা নদীর পানি নামার সুযোগ পাচ্ছেনা। ভাটির পানি ও সুনামগঞ্জে চাপ দিচ্ছে এতে করে হাওর গুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সবাই কে ঐক্যবদ্ধ ভাবে হাওর রক্ষার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান ও জানান।