• ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীত্ব হারালেন ইমরান খান

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত এপ্রিল ১০, ২০২২
অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীত্ব হারালেন ইমরান খান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শেষ রক্ষা হলোনা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের।দিনভর নাটকীয়তার পর অনাস্থা ভোটে হেরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ হারালেন ইমরান খান। তার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন ১৭৪ জন সংসদ সদস্য।

ভোট শেষে প্যানেল স্পিকার আয়াজ সাদিক ঘোষণা দেন,  ১৭৪ জন সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে তাদের ভোট দিয়েছেন। ফলস্বরূপ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাবটি সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস হয়েছে।

এর আগে হাইকোর্ট নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট আগে শনিবার (৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে দেশটির জাতীয় পরিষদে এই অনাস্থা ভোট শুরু হয়।

দেশটির জাতীয় পরিষদ সকাল সাড়ে ১০টায় ইমরানের ভাগ্য নির্ধারণ করতে বসে। কিন্তু অধিবেশন শুরু হলেও বারবার তা মুলতবি হয়ে যাওয়ায় ভোটাভুটি স্থগিত হয়।

এদিকে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার আসাদ কায়সার এবং ডেপুটি স্পিকার কাশিম সূরি অনাস্থা ভোটের আগে তাদের দায়িত্বভার থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে স্পিকার আসাদ কায়সার গণমাধ্যমকে জানায়, তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিদেশী ষড়যন্ত্রে অংশ হতে পারবেন না।

স্পিকার আরো বলেন, আমাদের আইন এবং দেশের পক্ষে দাঁড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা ভেবে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমি স্পিকার পদে থাকতে পারব না।

পদত্যাগের ঘোষণার আগে তারা প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বাড়ীতে তার সঙ্গে দেখা করতে যান।শনিবার দেশটির গণমাধ্যম জিও টিভি এ খবর প্রকাশ করে।

শনিবার মধ্যরাতে একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর জিও নিউজের।

পদত্যাগের খবর প্রকাশের আগে কায়সার ও সুরি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।

সূত্রটি জানায়,  তারা শিগগিরই পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে শনিবার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারিত হবার কথা ছিল। এদিন পার্লামেন্টে বিরোধীদের আনা এক অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট হওয়ার কথা থাকলে সকালে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হলেও বারবার তা মুলতুবি হয়ে যাওয়ায় ভোটাভুটি এখনও অনুষ্ঠিত হয়নি।

সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে শনিবার অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার আসাদ কায়সার।  অধিবেশন শুরুর পর ১২টা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছিল। স্বল্প-সময়ের জন্য আমজাদ আলী খান নিয়াজিকেও অধিবেশনের সভাপতিত্ব করতে দেখা গেছে। এর পর আসাদ কায়সার এসে নিজের আসনে বসেন। অধিবেশনের এজেন্ডার মধ্যে চতুর্থ নম্বরে ছিল অনাস্থা ভোট। সে অনুসারে ইফতারের পর অনাস্থা ভোট হওয়ার কথা জানান স্পিকার। তবে ইমরান খান সেসময় অনুপস্থিত ছিলেন।

অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধীদের পূর্ণশক্তিতে হাজির হতে দেখা গেছে। সরকারি দলের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরাইশি ও পিটিআই নেতা আমির দোগার অধিবেশনে অংশ নিয়েছেন। আর বিরোধীদের মধ্যে ছিলেন, বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি, রানা সানাউল্লাহ, আয়াজ সাদিক, নাভিদ কামার ও মাওলানা আসাদ।

এদিকে ৩ এপ্রিল অনাস্থা ভোট বাতিলে ডেপুটি স্পিকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, অনাস্থা ভোট বাতিল করে দিতে ডেপুটি স্পিকারের সিদ্ধান্ত ও পরবর্তীতে ইমরান খানের পরামর্শে প্রেসিডেন্ট ডা. আরিফ আলভির পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া অসাংবিধানিক।