বিবিএন ডেস্ক: বাবা- মা বাংলাদেশে, আর ছেলে তারাবীর পর বন্ধুদের সাথে বের হয়েছিলো লং ড্রাইভে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে ১৯ বছর বয়সী নাভিদ গাড়ি দূর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়। বাবা সিলেটের চৌকিদেখির বাসিন্দা ইকরাম আহমেদ বাবলু ও মা ৭ এপ্রিল সকালে লন্ডনে ফেরার আগ পর্যন্ত জানতেন না তাদের বুকের ধন আর নেই।
গাড়িতে থাকা বাকি ৪ জন প্রানে বেচে গেলেও মারাত্মক আহত হয়েছে। এই ৪ জনই বেথনালগ্রীনের বাসিন্দা।
ঘটনাটি ঘটে এসেক্সের এ টুয়েন্টি ওয়ান মোটরওয়ে লন্ডন রোডে, ৬ এপ্রিল মধ্যরাতে , রাত ১ টা ৫০ এর দিকে। বেপরোয়া গতির কারনেই দূর্ঘটনা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনার সম্পর্কে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্পিকার কাউন্সিলার আহবাব হোসেনের বলেন, ছেলেটি বায়তুল আমান মসজিদ থেকে তারাবী পড়ে বন্ধুরা মিলে এসেক্সের দিকে যাচ্ছিলো। পথের মধ্যে দূর্ঘটনায় সে মারা যায়। গাড়িতে থাকা অন্যরা আহত হয়েছে।
তিনি বাংলাদেশি পরিবারগুলোর প্রতি আহবান জানান সন্তানেরা রাতে কোথায় যায়, তারাবীর পরে ঘরে ফিরছে কি না এসব খোঁজ খবর রাখার জন্য।
এই ঘটনায় ২০ বছর বয়সী দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিপজ্জনক গাড়ি চালানো ও মৃত্যুর জন্য দায়ী হিসাবে। নিহত নাভিদের বাবার ইকরাম আহমেদ বাবলু, দীর্ঘদিন বেথনালগ্রীন এলাকায় থাকলেও সম্প্রতি তিনি পরিবার নিয়ে ডেগেনহাম এলাকায় চলে যান। এই ঘটনায় বেথনালগ্রীন এলাকার বাংলাদেশী পরিবারগুলোতে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।