• ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বাবাকে মারধর:আমেরিকা ফেরত ছেলে গ্রেফতার

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত মার্চ ২৬, ২০২২
বাবাকে মারধর:আমেরিকা ফেরত ছেলে গ্রেফতার

 

বিবিএন ডেস্ক: রাস্তায় প্রকাশ্যে বাবাকে মেরে রক্তাক্ত করেছেন আমেরিকা প্রবাসী ছেলে। গতকাল জুমার নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথেই বাবার ওপর হামলা করেন ওই ছেলে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। আর অভিযুক্ত ছেলে আলমগীর চৌধুরী বাবুকে আটক করে কোতোয়ালি থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার নগরীর মীরের ময়দানস্থ বাংলাদেশ বেতার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটেছে।

আহত সাবেক বন কর্মকর্তা মতলুবুর রহমান চৌধুরী নগরীর পশ্চিম পীর মহল্লার ১৪/৪০ বাড়ির বাসিন্দা। তার গ্রামের বাড়ি বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের দক্ষিণ দুবাগে।

আহত মতলুবুর রহমান বলেন, তার ছেলে আলমগীর চৌধুরী বাবু’র কাছে তিনি এতোদিন জিম্মি ছিলেন। জুমার নামাজ পড়তে ছেলের ব্যক্তিগত গাড়িতে (ঢাকা মেট্টো-গ-১৯-৪৩৫২) শাহজালাল (র.) দরগাহ মাজার মসজিদে যান। নামাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে ছেলে আলমগীর ঘটনাস্থলে তাকে গাড়িতে আটকিয়ে পরনের ফতুয়ার কলার চেপে গাড়ি’র ভেতরে মারধর করেন। এ ঘটনায় মাথা ও চোখের কোনা ফেটে মতলুবুর রহমান রক্তাক্ত হন। এ সময় ছেলের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে তিনি গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলেও পারছিলেন না। পরে আশপাশের লোকজন ও মসজিদের মুসল্লিরা এসে তাকে উদ্ধার করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃদ্ধ মতলুবুর রহমানকে তার ছেলে কলার চেপে গাড়ির ভেতর মারধর করছিল। ঘটনাটি দেখতে পেরে রাস্তার অপর পাশে অবস্থিত কিউসেট মসজিদের মুসল্লি ও পথচারিরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন। এ সময় তারা বৃদ্ধকে মারধরের প্রতিবাদ করলে হামলাকারী আলমগীর নিজেকে আমেরিকা পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি দেখান। বলেন, আমার কাজে হস্তক্ষেপ করলে আমেরিকা পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যাবে।

স্থানীয়রা বাবাকে মারধরের কারণ জানতে চাইলে আলমগীর চৌধুরী বলেন, তার বাবা দুই বিয়ে করেছেন। তিনি ছেলে হিসেবে তাকে শাসন করছিলেন। এটা নিজেদের ফ্যামিলি ম্যাটার, কাউকে নাক না গলাতে নিষেধ করেন তিনি। পক্ষান্তরে তার বাবা উপস্থিত লোকজনকে বলেন, আমি সরকারি কর্মকর্তা (ফরেস্টার) ছিলাম। আমাকে আপনারা তার হাত থেকে রক্তা করুন। সে আমাকে জিম্মি করে রেখেছিল। আমাকে মেরে ফেলতে চায়। তখন উপস্থিত লোকজন ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে কোতোয়ালি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বৃদ্ধ মতলুবুর রহমানকে চিকিৎসার জন্য তার ভাতিজা নাঈম চৌধুরীর সঙ্গে হাসপাতালে পৌছে দেয়। আর আলমগীরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী মাহমুদ বলেন, জন্মদাতা বাবাকে মেরে ছেলে রক্তাক্ত করেছেন। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। এ ঘটনায় ছেলের বাবা বাদী হয়ে মামলা দিলে পরবর্তীতে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।( দৈনিক জালালাবাদ)