নিজস্ব প্রতিবেদক: সুনামগঞ্জের ছাতকে লতিফি হ্যান্ডস এর মাধ্যমে অসহায় দুই পরিবারকে টিনসেডের ঘর নির্মাণ করে দিলেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবদুল মান্নান। তিনি ছাতকের কালারুকা ইউনিয়নের জামুরাইল গ্রামের নুর মিয়ার ছেলে। নতূন ঘর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা খুশি।
জানা যায়, ২০২১ সালের ৪ফেব্রুয়ারী উপজেলার জামুরাইল গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় ভাই সমুজ মিয়া (৫৫)’র প্রাণনাশের অস্ত্রের আঘাতে ছোট ভাই পারভেজ মিয়া (৩৬) মারা যায়। ঘটনার পর গ্রামের সচেতন লোকজন হত্যাকারী সমুজ মিয়াকে ধরে পুলিশে দেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সুজিয়া বেগম বাদী হয়ে ছাতক থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পরদিন পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করেন। আসামী এখনও হাজতবাস করছে।
এদিকে, এ হত্যা কান্ডের পর দিনমজুর দুই পরিবারে অসহায়ত্বের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। অনাহারে অর্ধহারে জীবন অতিবাহিত হয় তাদের। কষ্টের যেন শেষ নেই। তাদের রোজগারের নেই উপযুক্ত কোন সন্তান। দুই পরিবারের পাঁচ ছেলে তারা সবাই শিশু। অপরদিকে তাদের বসবাসের ঘর দু’টি নাজুক। ঝড়-বৃষ্টিতে ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা। সম্প্রতি গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবদুল মান্নানের কাছে তাদের বসতঘর নির্মান করে দেয়ার জন্য একই মাস্টার আবদুল গফ্ফার অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে ওই প্রবাসী লতিফি হ্যান্ডস এর মাধ্যমে গত ১২ ফেব্রুয়ারী চার রুম বিশিষ্ট টিনসেডের ঘর দু’টি নির্মাণ করে দেন।
জেল হাজতে থাকা সমুজ মিয়ার স্ত্রী ফুলমালা বেগম ও নিহত পারভেজ মিয়ার স্ত্রী সুজিয়া বেগম বলেন, তারা গরিব অসহায়। তাদের স্বামীরা ছিলেন দিনমজুর। একজন জেলহাজতে আর অপরজন কবরে। সন্তানদের নিয়ে তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। প্রবাসীর উদ্যোগে ও লতিফি হ্যান্ডস’র মাধ্যমে বসতঘর পেয়ে তারা খুশি। তিন বেলা ভাত না খেলেও সন্তানদের নিয়ে রাতে নিরাপদে ঘুমানোর ব্যবস্থা হয়েছে।
গ্রামের মাস্টার আবদুল গফ্ফার বলেন, গরিব অসহায়, মসজিদ-মাদরাসাসহ বিভিন্ন ভাবে আর্থিক সাহায্য করে আসছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবদুল মান্নান। তার অনুরোধে সিলেটের জকিগঞ্জের ফুলতলী ছাহেববাড়ির লতিফি হ্যান্ডস’র মাধ্যমে ওই প্রবাসী অসহায় পরিবার দু’টিকে নতূন ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন।