• ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

পীর হাবিব একজন সাহসী কলম সৈনিক ছিলেন:সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি’র শোক সভায় বক্তরা 

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
পীর হাবিব একজন সাহসী কলম সৈনিক ছিলেন:সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি’র শোক সভায় বক্তরা 
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক, খ্যাতিমান সাংবাদিক ও কলামিস্ট পীর হাবিবুর রহমান স্মরণে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে সুনামগঞ্জে। আজ শনিবার দুপুরে শহরের পৌরবিপণিতে সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি এ শোক সভার আয়োজন করে।
এসময় বক্তারা বলেন, পীর হাবিবুর রহমান একজন সাহসী কলম সৈনিক হিসেবে ছিলেন। সমকামী বিষয়ে তার ক্ষুরধার লেখনি দেশব্যাপী আলোচনার জন্মদিত। তার লেখায় সমাজের কালো শক্তি সবসময়ই ক্ষুব্ধ হত। তিনি তাদের চোখ রাঙানীকে ভয় পেতেন না। স্বাধীনতার সপক্ষে তার অবস্থান ছিল আমৃত্যু। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে কখনো আপস করননি।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও পীর হাবিবের সহোদর পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, পীর হাবিব নিজের মেধা দিয়ে অনেক লড়াই-সংগ্রাম করে সাংবাদিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দেশবরেণ্য  রাজনীতিকরা তাকে স্নেহ করতেন। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আপস করেননি। তিনি বলতেন, বঙ্গবন্ধু আমার নেতা, মানুষ আমার দল।
তিনি আরো বলেন, তিনি দেশকে, বিশেষ করে সুনামগঞ্জকে গভীরভাবে ভালবাসতেন। সুনামগঞ্জকে দেশবাসীর কাছে প্রেমের, কবিতার, জল-জোছনার জনপদ হিসেবে পরিচিত করিয়েছিলেন। তার লেখায় কালো শক্তি চোখ রাঙানি তোয়াক্কা করেননি। দেশের পক্ষে, স্বাধীনতার সপক্ষে লিখে গেছেন।
তিনি বলেন, আপনাদের সবার সাথে তার চলাফেরা উঠাবসা ছিল। তার কোন আচরণে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে তাকে ক্ষমা করে দেবেন।
সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নূরুল হুদা মুকুট বলেন, পীর হাবিব ছিলেন সুনামগঞ্জবাসীর গর্ব। জাতীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক নেতাদের সাথে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। মানুষের বিপদে মানুষের উপকার করার প্রবণতা ছিল তাঁর মাঝে। আমরা যারা রাজনীতি করি মানুষের পাশে দাঁড়াই, কিন্তু দুর্দিনে হাবিব আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা হাবিবের পরিবারের পাশে আছি এবং থাকব।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত বলেন, পীর হাবিব মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারে আপস করেননি। সাহসিকতা দিয়ে জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মানুষের জন্য লিখেছেন, মানুষের জন্য করেছেন। উপকার করে মানুষকে ঋণী করে গেছেন। উনি ছিলেন সুনামগঞ্জবাসীর অভিভাবক। তার আদর্শকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। তাকে হৃদয়ে লালন করতে হবে। তিনিই সুনামগঞ্জকে জল-জোছনার শহর হিসাবে পরিচিত করেছিলেন। তার নামকে স্মরণীয় করে রাখতে একটি স্থাপনার নামকরণ করার চেষ্টা করব।
সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হিমাদ্রী শেখর ভদ্রর সঞ্চালনায় শোক সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জয়নাল আবেদীন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র নূরুল ইসলাম বজলু, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আবু নাসের, ক্রীড়া সংগঠক পারভেজ আহমদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা অমল কান্তি কর, সাংবাদিক  সেলিম আহমদ তালুকদার, মাসুম হেলাল, এমরানুল হক চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম, কর্ণবাবু দাস প্রমুখ।
পরে পীর হাবিবুর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন সাংবাদিক মাওলানা আমিনুল হক।