বিবিএন ডেস্ক :: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সাংসদ ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের প্রতি খুব সদয়। সিলেটের উন্নয়নে বরাদ্দ দিতে তিনি দ্বিধা করেন না। না চাইতেও প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনেক কিছু পাচ্ছে সিলেট। সিলেট নগরীর উন্নয়নে ১২২৮ কোটি টাকা দিয়েছে সরকার। সিলেটের যোগাযোগ ব্যবস্থা- রাস্তাঘাট উন্নত হচ্ছে। এয়ারপোর্ট অত্যাধুনিক হচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। শিক্ষাখাতে উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৃহত্তর সিলেটের প্রত্যেকটি কলেজে বিশেষ অনুদান দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় মডেল সিলেট গড়ে তোলা হচ্ছে।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, টাকা শুধু পাইলেই হয় না। টাকা কাজে লাগাতে হয়। টাকা আগেও দিয়েছিলেন আমাদের অর্থমন্ত্রী। কিন্তু ফেরত গেছে। বর্তমান সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলররা টাকা কাজে লাগাচ্ছেন। যার ফলে সিলেটের উন্নয়ন হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই সিলেট নগরী আপনার-আমার সবার। কে কোন মতের- দলের সেটা দেখার বিষয় নয়। আমরা সবাই সিলেটের- এটাই মূল বিষয়। এখানের ছেলে আমি, আমাদের সবার হৃদয়ে সিলেট। আমার কাছে কেউ কেউ বলেন যে, মেয়র অন্য দলের। সুতরাং আপনি উনার অনেক প্রস্তাব গ্রহণ করবেন না। আমি বলি- সিলেট তো আমারও। মেয়র সাহেবরও (আরিফের)। সুতরাং বৃহত্তর সিলেটের মঙ্গলের জন্য সব করতে হবে।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন আরও বলেন, আমাকে কেউ কেউ বলেছেন- আজকের আয়োজন আরিফ করেছেন। আমি বলেছি- আরিফ সাহেব করে নাই, করেছে সিটি করপোরেশন। বরং আপনাদের লজ্জা লাগা উচিত এই কারণে যে- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে এত ভালো কাজ করছেন, একজন অন্য দলের লোক সেটি স্বীকার করছে। সেটা গ্রহণ করতেছে। আপনাদের তো ভালো লাগার কথা। আমি তো হলাম উসিলা মাত্র। তারা আমাকে নয়, সম্মান দিচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে। যিনি আমাদের প্রতি সদয় হয়ে এতকিছু করছেন। সুতরাং সিলেটের উন্নয়নে সবাই মিলেমিশে কাজ করতে হবে।
সফল পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বিদেশের বুকে বাংলাদেশের গৌরব সমুন্নত রাখা, সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প অনুমোদন ও সিলেটের উন্নয়নের বিশেষ অবদান রাখায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সাংসদ ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে নাগরিক সংবর্ধনা প্রদান করেছে সিসিক।
বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে অনুষ্ঠানস্থলে এসে পৌঁছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এর আগে বেলা ২টা ২০ মিনিটে ইউএস বাংলা’র একটি ফ্লাইটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমাবন্দরে এসে পৌঁছেন তিনি।
বুধবার দুপুর থেকে সিলেট রেজিস্ট্রারি মাঠের সংবর্ধনা অনুষ্ঠাস্থলে দল-মত নির্বিশেষে লোকজন আসতে থাকেন। বিকাল ৩টা পর্যন্ত কানায় কানায় ভর্তি হয়ে যায় রেজিস্ট্রারি মাঠ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বিকাল পৌনে ৪টার দিকে তিনি শুভেচ্ছা বক্তব্য ও পৌনে ৫টায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন।
এদিকে, সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র ও বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরীর বিভিন্ন সময় আওয়ামীবিরোধী বক্তব্য প্রদানের অজুহাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ‘বয়কট’ করেছেন সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। তবে পররাষ্টমন্ত্রীর সঙ্গে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে পৌঁছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি।