সমাবেশে আসা মানুষজন বলেন, বর্তমান বরিস জনসনের সরকার পুরাতন ন্যাশনালটি ও বর্ডারস বিল সংশোধন করে নুতন বিল আনতে যাচ্ছে। সংশোধনীতে বিলের ৯এর ধারায় ‘যে কোন সময় নাগরিকত্ব বাতিলের’ কথা বলা হয়েছে। বিতর্কিত এই বিলে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এসে নাগরিকত্ব নেয়া এবং যাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে তাঁরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। যে কোন সময় নোটিশ ছাড়া হোম অফিস বা সরকার এসব নাগরিকের নাগরিকত্ব বাতিল করতে পারবে। আপিলেরও কোন সুযোগ থাকবে না। আগে নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে আপিলের ব্যবস্থা থাকতো।
সমাবেশে আসা জর্জ মম বলেন, সমাবেশে সাদা, কালো সব বর্ণের, নানা শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নিয়েছেন, এই বিল বর্ণবাদী বিল। এই বিল পাস হলে নোটিশ ছাড়াই হোম অফিস যে কারও নাগরিকত্ব বাতিল করতে পারবে। যা মানবাধিকারের লংগন। আমরা সরকারকে পাস হতে যাওয়া বিলটি বাতিল করার দাবি জানিয়েছি।
বৃট্রিশ বাংলাদেশী এক্টিভিষ্ট, ভয়েস ফর জাষ্টিসের চেয়ারম্যান আবু তাহের চৌধুরী বলেন, এইটা একটি ড্রাকুনিয়ান আইন। এই আইনে সাধারন অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। সরকার এই আইনের ব্যবহারের চেয়ে অপব্যবহার হবে বেশী।
অপর আরেকজন বাংলাদেশী সাইফুল আলম বলেন, আমি ৩০বছর যাবৎ এই দেশে বসবাস করছি, ক্ষুদ্র হলেও এই দেশের অর্থনীতিতে আমার অংশগ্রহণ আছে। আমার এবং সন্তানদের অধিকার আছে এই দেশে বসবাস করার। বিলটি পাস হলে আমাদের মত বাংলাদেশী, যাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।
উল্লেখ্য এই বিলের বিরুদ্ধে সিগনেচার ক্যাম্পেইন চলছে, ইতিমধ্যে প্রায় ৩লাখ সিগনেচার সংগ্রহ হয়েছে। ১লাখ সিগনেচার সংগ্রহ হলে বৃট্রিশ পার্লামেন্টে সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনার দাবি তৈরি হয়। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন বছরের শুরুতে পার্লামেন্ট অধিবেশন শুরু হলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।