বিবিএন ডেস্ক: গত কয়েক মাস ধরে ডা. মুরাদ হাসানের মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ডা. মুরাদ হাসানের কিছু বক্তব্য সরকার এবং দলকে বিব্রত করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ডা. মুরাদ হাসান আমাকে সবসময় সহযোগিতা করে এসেছেন। কয়েক মাস ধরে তার মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি। তার কিছু বক্তব্য ঘটনা আসলে সরকার ও দলকে বিব্রত করেছে। সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে পদত্যাগ করার জন্য বলেছেন। সে অনুযায়ী তার সাইন করা পদত্যাগপত্র একটু আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে নিয়ে গেছে তার পিআরও। তার সবগুলো ঘটনা, পুরো বিষয়টি আসলে দুঃখজনক।
মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তিনি আমাকে সবসময় সহযোগিতা করেছেন। সেজন্য তাকে আমি ধন্যবাদ জানাই। তার সুস্থতা ও তার মঙ্গল কামনা করি।
মুরাদ হাসানের মধ্যে আপনি কী পরিবর্তন দেখেছিলেন জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, দেখুন, আমার কাছে মনে হয়েছে তিনি আগে যে রকম ছিলেন। গত তিন মাস ধরে একটা পরিবর্তন আমার কাছে মনে হচ্ছিল। বিভিন্ন ঘটনা ও কর্মকাণ্ডে আমরা সেটি মনে হচ্ছিল।
আপনি কী মনে করেন না মুরাদ হাসান মানসিকভাবে সুস্থ নন- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মুরাদ হাসান আমাদের সবসময় সহযোগিতা করেছেন। এজন্য তাকে আমি ধন্যবাদ জানাই। তিনি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমাদের কোনো কাজে কখনও বাধা হয়ে দাঁড়াননি। আমি তার সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল এবং তিনি যাতে ভবিষ্যতে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন সেই কামনা করি।
মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য। তার বাবা প্রয়াত মতিউর রহমান তালুকদার জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কিত বক্তব্য এবং কর্মকাণ্ডের কারণে মুরাদ সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিমন্ত্রীর কিছু অডিও-ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় দেশজুড়ে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।
এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সরকার। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে না পারলেও সারা দেশে দলের নেতাকর্মীরা তার ওপর বিরক্ত এবং ক্ষুব্ধ। এ ঘটনায় বিএনপিসহ বিভিন্ন নারী সংগঠনও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা ডা. মুরাদের পদত্যাগ দাবি করেন।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবারের মধ্যেই পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে মুরাদকে।