বিবিএন ডেস্ক: ব্রিটেনের অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করে বলেছেন, জীবন যাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় কারণে কম আয়ের পরিবার এবং পেনশনভোগী মানুষদেরকে ১৮ মাসের দীর্ঘ আর্থিক চাপের মুখে পরতে হতে পারে।
ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড এবং সরকারি স্পেন্ডিং ওয়াচডগের মতে, সামনের বছর বা আগামী বসন্ত থেকে মূল্য বৃদ্ধি ৫ শতাংশ বেড়ে যাবে। আর এই মূল্য বৃদ্ধি আগামী দুই বছর স্থায়ী হতে পারে। এর ফলে সরকারি সুবিধাভোগী পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে পেনশন এবং ইউনিভার্সাল ক্রেডিটের আওতায় অর্থ পেতে বিলম্ব হবে। এবং মুদ্রাস্ফীতি আরও বেড়ে যাবে।
এমন সমস্যা সমাধানে চ্যান্সেলর রিশি সুনাকেত ওপর চাপ বাড়ছে।
সাবেক পেনশন মিনিস্টার ব্যারোন্স আন্টম্যান বলেন, “কম আয়ের বৃদ্ধ মানুষদের নিয়ে আমি শঙ্কিত।”
ব্রিটেনের কনজুমার প্রাইস ইনডেক্স-এর ডাটায় দেখানো হয়েছে, আগামী বসন্তে ৩.১ শতাংশ বেনেফিট প্ল্যান বাড়বে। এছাড়া সেপ্টেম্বরে ব্রিটেনে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৪.২ শতাংশ। এই মুদ্রাস্ফীতির উর্ধমুখী প্রবণতার কারণে সরকার ট্রিপল লক সিস্টেম স্থগিত করার পরিকল্পনা করছে।
এই অবস্থায় রিশি সুনাককে ইউনিভার্সাল ক্রেডিটের ২০ পাউন্ড বাদ যাওয়ার কারণে জমা হওয়া অর্থ এই খাত সহ এনার্জি খাতে ব্যয় করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এটা করা হলে জীবন নির্বাহ ব্যয় কমতে পারে।
রেজুলেশন ফাউন্ডেশন এর প্রধান নির্বাহী মাইক ব্রিউয়ার বলেন, “ইউনিভার্সাল ক্রেডিট থেকে বাদ দেওয়ার পর জমা হওয়া ২০ পাউন্ড এই খাতে ব্যয় করা জরুরি।”
লেবার পার্টির স্যাডো ওয়ার্ক অ্যান্ড পেনশন সেক্রেটারি জোনাথন রেনোল্ড দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টকে বলেন, “সরকারের উচিত জনগণের জীবন যাত্রার ব্যয় স্বাভাবিক রাখা। কিন্তু কনজারভেটিভ পার্টির ট্রিপল লক সিস্টেম বাতিল সহ দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা তাদের নির্বাচনি ম্যানুফেস্টোর পরিপন্থি।” এছাড়া মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় ফিক্সড ইনকাম করা মানুষেরা সমস্যায় পরবে বলে জানান তিনি।