বিবিএন ডেস্ক: ব্রিটিশ হোম সেক্রেটারি প্রীতি প্যাটেলের বিরুদ্ধে কর্মীদের ধমকানো ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠলে তার পক্ষে অবস্থান নেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তের কারণে এবার আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি তার সরকার।
গত বছর প্রীতি প্যাটেলের বিরুদ্ধে একটি সমালোচনামূলক প্রতিবেদন আমলে না নেওয়ায় পদত্যাগ করেন, মন্ত্রী পরিষদের নিয়মনীতি বিষয়ক বরিস জনসনের উপদেষ্টা অ্যালেক্স অ্যালান।
কেবিনেট অফিসের তদন্তের পর দেখা যায়, প্রীতি প্যাটেলের এমনসব আচরণ তুলে ধরেছিলেন অ্যালেক্স, যেগুলো কর্মীদের উপর নির্যাতন বা বুলিং হিসেবে বর্ণনা করা যায়।
তার প্রতিবেদনে প্রীতি প্যাটেল মিনিস্টারিয়াল কোড ভঙ্গ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়, হয়তো সেটা অনিচ্ছাকৃতভাবেও ঘটে থাকতে পারে।
প্রিয় হোম সেক্রেটারির বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উড়িয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তার মতে প্রীতি প্যাটেল কোনো মিনিস্টারিয়ল কোড ভঙ্গ করেননি।
সিনিয়র বেসামরিক কর্মচারীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন এফডিএ মন্ত্রীর কোডের আইনি অবস্থার তদন্ত করে এই সিদ্ধান্তের একটি বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনা এনেছে, যা আগামী বুধবার এবং বৃহস্পতিবার রয়্যাল কোর্ট অব জাস্টিসে শুনানি হও্যার কথা।
এফডিএর সাধারণ সম্পাদক ডেভ পেনম্যান বলেন, সিভিল সার্ভেন্টরা মন্ত্রীদের অধীনে বুলিং বা হয়রানি হবার ভয় ছাড়া কাজ করার প্রত্যাশা করেন।
“প্রধানমন্ত্রীর মতে স্বরাষ্ট্র সচিবের ক্রিয়াগুলো অনিচ্ছাকৃত। এ সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে মন্ত্রীদের আচরণবিধি এড়ানোর সুযোগ করে দেয়। ফলে মন্ত্রীদের থেকে অগ্রহণযোগ্য আচরণকে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষেত্রে বেসামরিক কর্মচারীদের আস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি আরও যোগ করেন, ইউনিয়নের একটি সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে ৯০ শতাংশ বেসামরিক কর্মচারী বলেছেন যে মন্ত্রীদের দ্বারা হয়রানি বা হয়রানি মোকাবেলার উপায় হিসাবে মিনিস্টারিয়াল কোডে তাদের আস্থা নেই।
এদিকে সপ্তাহের শুরুতে বরিস জনসনকে ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে। পেইড লবিংয়ের অভিযোগে ৩০ দিনের বহিষ্কারাদেশ থেকে সমালোচিত এমপি ওয়েন পিটারসনকে রক্ষা করতে তার পক্ষে বলেন, ইউকে কোনোভাবেই দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ না।