তাদের কথিত খেলাফত টিকে থাকার সময় জিহাদি সংগঠনটি ইয়াজিদিদের বিরুদ্ধে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে এবং ইয়াজিদি মেয়েদের যৌনদাসী হিসাবে বিক্রি করেছে। ইয়াগো ইসলামিক স্টেটের শিরñেদের নিন্দা জানাতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তাকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ নিয়ে আমি কোনো কিছু বলতে পারছি না। উল্লেখ্য, এখনো ২ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি ইয়াজিদি নারী ও শিশু নিখোঁজ রয়েছে।
২৯ বছর বয়সী এই জিহাদি জানান, ইসলামিক স্টেট ধ্বংস হয়ে গেছে এটি তিনি বিশ্বাস করেন না। বরঞ্চ তার বিশ্বাস, শীগগিরই আবারো খেলাফত প্রতিষ্ঠা করে তাতে ইসলামি সব নিয়ম কানুন চালু করবে সংগঠনটি। তাকে শামীমা বেগমের সঙ্গে তার বৈবাহিক জীবন নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। এসময় তিনি হেসে ওঠেন এবং খেলাফতের মধ্যে তাদের পরিবারকে ‘সুন্দর স্মৃতি’ হিসাবে আখ্যায়িত করেন। ২০১৫ সালে শামিমা বেগম ইসলামিক স্টেটে যোগ দিতে বৃটেন থেকে পালিয়ে সিরিয়ায় আসেন। সিরিয়ায় পৌঁছানোর কয়েক দিনের মাথায় ১৫ বছর বয়সী শামীমাকে বিয়ে করেন ডাচ বংশোদ্ভূত এই জিহাদি। এই দম্পতির তিন সন্তান ছিল কিন্তু তাদের সকলেই মারা গেছে।
ইয়াগো বলেন, সিরিয়ায় পৌঁছানোর কয়েক দিন পরই শামিমাকে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। তার ভাষায়, বিয়ে করা কঠিন কিছু ছিল না। এটি ছিল অনেকটা বাজার করার মতো সাধারণ বিষয়। শামীমাকে প্রস্তাব দেয়ার পর সে কিছু স্বাধীনতা চেয়েছিল যেমন বাজারে যাওয়া বা বন্ধুদের দেখতে চাওয়ার মতো বিষয়গুলো। আমি এগুলো মেনে নিতে সম্মত হলে বিয়ে চূড়ান্ত হয় আমাদের মধ্যে। ইয়াগো আরও বলেন, শামীমা আমার কাছে কোরানের একটি ইংরেজি অনুবাদ চেয়েছিল বিয়ের সময়। তার সঙ্গে বিয়ের পর আমার সময়গুলো ছিল অসাধারণ। সেগুলো এখন আমার সুন্দর স্মৃতি। এখনো শামীমার সঙ্গে নতুন করে সব শুরু করতে চান ইয়াগো।
এদিকে, শামীমা বেগমও এখন আল-রোজের একটি কুর্দি পরিচালিত শরনার্থী শিবিরে রয়েছেন। ২০১৯ সালে জিহাদি সংগঠনে যোগ দেয়ার কারণে তার বৃটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়। তিনি অবশ্য নিজেকে সকল ধরণের উগ্রবাদ থেকে মুক্ত বলে দাবি করছেন। একইসঙ্গে বৃটেনে ফিরে আসার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। অপরদিকে ইয়াগোকে ২০১৮ সালেই নেদারল্যান্ডের আদালত অভিযুক্ত করেছে। তিনি যদি ইউরোপে প্রবেশ করে তাহলে তাকে ৬ বছরের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত।