নিজস্ব প্রতিবেদক: ছাতক উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে আগামী ১১ নভেম্ভর ভোট গ্রহণ অনুষ্টিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে গ্রাম-গঞ্জে, হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায় নির্বাচনী আমেজ এখন তুঙ্গে। শীতের আগমনে প্রার্থী ও ভোটাররা দিন রাত নির্বাচনী আলাপ-আলোচনায় ব্যস্ত। ভোটারদের সমর্থন আদায়ে প্রার্থীরা দিনরাত গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পোষ্টার লিফলেট এর মাধ্যমেও চলছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারনা।
নির্বাচনকে সমনে রেখে দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদ প্রার্থী আসকর আলী (ফুটবল) প্রতীকে ভোট চেয়ে নির্বাচনী গনসংযোগ করেছেন। রোববার বিকেলে গনসংযোগ করেন হলদিউরা, জাতুয়া, জুলগাঁও ও ততরগাঁও গ্রামে। গনসংযোগকালে তিনি সকলের ভোট, সমর্থন, সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন। ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী আসকর আলী হলদিউরা গ্রামের সাবেক মেম্বার মরহুম আরশ আলীর ছোট ভাই।
গনসংযোগকালে আসকর আলী বলেন, জাতুয়া, জুলগাঁও, ততরগাঁও, হলদিউরা, বল্লবপুর ও জুজখাই গ্রাম নিয়ে ৬নং ওয়ার্ড। ওয়ার্ডের প্রধান গ্রাম জাতুয়া’র সাথে অন্য গ্রামগুলোর যোগাযোগ সংযোগ ব্যবস্থা নেই। বিশেষ করে হলদিউরা গ্রামটি ওয়ার্ডবাসীর সাথে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন। জাতুয়া গ্রামের পাশেই সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক। এ গ্রামের অনেক বাড়ির মানুষ যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত। অবহেলিত গ্রামগুলোর মানুষ যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে অনেক পিছিয়ে রয়েছেন। দেশে প্রত্যান্ত গ্রামগুলোতে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে যোগাযোগ, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন দেখার মতো কিন্তু এখানে কোন উন্নয়ন নেই।
তিনি বলেন, অবহেলিত এ গ্রামগুলোর ছেলে-মেয়েরা শিক্ষার আলোয় আলোকিত না হয়ে অন্ধকারে রয়েছে যুগের পর যুগ ধরে। এর আগে অনেকেই জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন কিন্তু কেউ গ্রামগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করেননি। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে গ্রামগুলোর ছেলে-মেয়েরা শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতো।
এ ওয়ার্ডে নেই দৃশ্যমান কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া। অবহেলিত ওয়ার্ডের জুলগাঁও, ততরগাঁও ও হলদিউরা গ্রামের বিশাল জনগোষ্ঠী আজও যাতায়াত ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সকল উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বহুগুণ পিছিয়ে রয়েছে। তাছাড়া সরকার দেশে শতভাগ দারিদ্র বিমোচনের লক্ষে প্রান্তিক কৃষকসহ দিনমজুর কিংবা স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য বিভিন্ন আর্থিক প্রণোদনা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতার মতো নগদ অর্থ ও দূর্যোগকালীন ত্রান সহায়তার অসম বন্টন এবং স্বজনপ্রীতির কারনে এ ওয়ার্ডের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর হতাশার দীর্ঘশ্বাস দিনে দিনে আরো দীর্ঘ হচ্ছে।
হতাশার দীর্ঘশ্বাস থেকে মুক্তির এখনই সময়। ভোটারদের কাছে ভোট চেয়ে আসকর আলী আরো বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতেও যখন উন্নয়নের মহাযজ্ঞ চলছে, সেই সময়ে আমাদের পিছিয়ে থাকা ওয়ার্ডে একজন সৎ, নিষ্ঠাবান, কর্মট ও যোগ্য জনপ্রতিনিধির অভাব প্রকটভাবে ফুটে উঠেছে। সেই অভাব দূর করতে আপনাদের সচেতনতা ও ন্যায়নিষ্ঠ বিবেক বিবেচনার কোনো বিকল্প নেই।
আগামী ১১ নভেম্বরের নির্বাচনে ফুটবল প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হলে সরকারের দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্য পূরণে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাব। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে অগ্রসর করতে আমি সর্বদা সচেষ্ট থাকবো।