• ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাব আয়োজিত মিডিয়া কাপ ফুটবল ২০২১’ এর টুকিটাকি

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত অক্টোবর ২৫, ২০২১
লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাব আয়োজিত মিডিয়া কাপ ফুটবল ২০২১’ এর টুকিটাকি

বিবিএন স্পোর্টস ডেস্ক: যুক্তরাজ্য অফিস: যুক্তরাজ্যস্থ লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব আয়োজিত মিডিয়া কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট শেষ হয়েছে। রোববার (২৪ অক্টোবর) পূর্ব লন্ডনের মাইলএন্ড স্টেডিয়ামে এ টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। দশ দলের শতাধিক খেলোয়াড় ও বিপুলসংখ্যক দর্শকের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত হয়ে উঠে মাইলএন্ড স্টেডিয়াম।সেই আয়োজনের টুকিটাকি নীচে দেয়া হলো।   

গোল:- টুর্নামেন্টে সর্বমোট ৩২টি গোল হয়েছে। এর মধ্যে ‘আইওএন টিভি’ ওয়াক ওভার ছাড়া প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠাতে ব্যর্থ হয়েছে। অর্থাৎ গোলশূণ্যভাবে টুর্নামেন্টে শেষ করেছে বিপরীতে তারা টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ৬টি গোল হজম করেছে। গোল দিতে না পারার পেছনে দলের মাঝ মাঠের খেলোয়াড় মাহবুব আলী খানশূর ও খিজির হায়াত কাওছার তাদের তারকা স্ট্রাইকার আনোয়ার শাহজাহানের ইনজুরিকে দায়ী করেছেন।

‘সাপ্তাহিক দেশ’ ওয়াক ওভার ছাড়া প্রতিপক্ষের জালে মাত্র দুইবার বল পাঠাতে পেরেছে বিপরীতে তারা টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ৬টি গোল হজম করেছে। ওয়াক ওভার না পেলে আরও বেশি গোল তাদের হজম করতে হতো বলে অনেকেই মনে করছে। ‘বাংলা পোস্ট’ গোলশূণ্যভাবে টুর্নামেন্টে শেষ করেছে বিপরীতে তারা ৫টি গোল হজম করেছে। ‘সুরমা এন্ড পত্রিকা ইউনাইটেড’ প্রতিপক্ষের জালে ১টি গোল দিয়েছে, বিপরীতে তারা টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ৬টি গোল হজম করেছে।

আরেকটা গোল তারা দিতে পারতো যদি তবারক পারভেজ তার বুলেট গতির শটটা গোলবারের ভেতরে মারতে পারতো। যাইহোক, গতবারের চ্যাম্পিয়ন ‘চ্যানেল এস’ এবারের টুর্নামেন্টে মাত্র ২টি গোল হজম করেছে বিপরীতে তারা প্রতিপক্ষের জালে ৯ বার বল পাঠিয়েছে। আবাহনী ৩টি গোল হজম করেছে বিপরীতে তারা প্রতিপক্ষকে ৭ টি গোল দিয়েছে। এবারের চ্যাম্পিয়ন ‘ওয়ান বাংলা ফ্রেন্ডস ইউনাইটেড’ মাত্র ২টি গোল হজম করেছে বিপরীতে তারা প্রতিপক্ষের জালে টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ১০ বার বল পাঠিয়েছে। টুর্নামেন্টে ‘চ্যানেল এস’ এর ইব্রাহিম খলিল প্রথম গোল করেছেন। পেনাল্টি শটে জাকির হোসেন কয়েছ টুর্নামেন্টের শেষ গোলটি করেছেন।

আত্মঘাতি গোল:- ‘আইওএন টিভি’ টুর্নামেন্টের একমাত্র আত্মঘাতি গোলটি হজম করেছে। ‘ওয়ান বাংলা ফ্রেন্ডস ইউনাইটেড’ এর আহাদ চৌধুরী বাবুর শট ‘আইওএন টিভি’র গোলকিপার মাহাবুবুর রহমানের পায়ে লেগে জালে ঢুকেছে।

গোলকিপারদের টুর্নামেন্ট:- আর্টিফিসিয়াল টার্ফে সিক্স এ সাইড টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হলে গোল সংখ্যা সাধারনত বেশি হয়। কিন্তু এ টুর্নামেন্ট এক ম্যাচে সর্বোচ্চ গোল হয়েছে ৪টি। এছাড়া কোন ম্যাচ ০-০ গোলে অমিমাংসিতভাবে শেষ হয়েছে। সেমিফাইনালের ম্যাচ ট্রাইব্রেকারে গড়িয়েছে। একজন গোলকিপার ম্যান অব দ্যা টুর্নামেন্ট হয়েছেন এ থেকে বুঝাই যাচ্ছে এটা গোলকিপারদের টুর্নামেন্ট হয়েছে। ‘চ্যানেল এস’ এর কামরুল, ‘ওয়ান বাংলা ফ্রেন্ডস ইউনাইটেড’ এর জাকির হোসেন কয়েছ, ‘সুরমা এন্ড পত্রিকা ইউনাইটেড’ এর এমদাদুল হক চৌধুরী, ‘আবাহনী’র খালেদ, ‘এলবি২৪’ এর এনাম চৌধুরী ও ‘আইওএন টিভি’ এর মাহাবুবুর রহমান প্রত্যেকেই দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। রহমত আলীর মত অভিজ্ঞ গোলকিপারও ‘সুরমা এন্ড পত্রিকা ইউনাইটেড’ এর লাইনআপে ছিলেন।

এক ম্যাচে দুই দলকে হারানোর উল্লাস:- সাপ্তাহিক সুরমা আর সাপ্তাহিক পত্রিকা এবারে একসাথে ‘সুরমা এন্ড পত্রিকা ইউনাইটেড’ নামে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছেন। যে দলই এই দলকে হারিয়েছে তারা এক ম্যাচে দুই দলকে হারানোর স্বাদ পেয়েছেন। সুরমা এন্ড পত্রিকা ইউনাইটেড কে একসাথে হারানোয় তারা ডাবল উল্লাস করেছেন বলে ম্যাচ পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন।

জার্সি বিভ্রাট:- ‘বিলেত’ ও ‘সুরমা এন্ড পত্রিকা ইউনাইটেড’ এর জার্সির রং (লাল) এক হয়ে যাওয়ায় কিছুটা জার্সি বিভ্রাট হয়েছে। দর্শকরা কেউ কেউ একটাকে গরুর রক্তের লাল ও অন্যটাকে মহিষের রক্তের লাল বলে রসিকতা করেছেন। পরে ‘সুরমা এন্ড পত্রিকা ইউনাইটেড’ এর খেলোয়াড়েরা তাদের জার্সির উপর ভেস্ট পরে খেলতে নেমেছেন।

ট্রফির স্বপ্ন:- নিজেদের প্রথম ম্যাচে ‘বিলেত’ এর আ স ম মাসুম, এমরান আহমেদ, তানীম ও অন্য খেলোয়াড়েরা সাপ্তাহিক বাংলা পোস্টের সাথে গোলশূণ্য ড্র করে অতি আত্মবিশ্বাসে চ্যাম্পিয়ন ট্রফির সাথে ছবি তুলেছেন। দর্শকদের হুড়োহুড়িতে পরে যদি আর ছবি তুলার সুযোগ না পান। প্রেস রিলিজে ছবি দেওয়ার জন্য তারা আগেই তাদের ছবি তুলে রেখেছেন। যদিও পরে তাদের একজন খেলোয়াড় ইনজুরড় হলে টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলো থেকে তারা সরে দাড়িয়েছেন। তাদের ট্রফির স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেছে।

তারকা জুটি:- ‘চ্যানেল এস’ এর ইব্রাহিম খলিল ও মোহাম্মদ জুবায়ের এর জুটি সবার নজর কেড়েছেন। দুজনেই দুর্দান্ত খেলেছেন। তারা ব্রাজিলের রোমারিও-বেবেতো জুটির কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। তাদের পায়ে বল গেলেই দর্শকেরা নড়েচড়ে বসেছেন। একইভাবে ‘আবাহনী’র বুলবুল হাসান ও ইমরান হোসাইনের খেলা বাংলাদেশের শেখ আসলাম ও মুনেম মুন্নাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন। ‘ওয়ান বাংলা ফ্রেন্ডস ইউনাইটেড’ আহাদ চৌধুরী বাবু ও জাকির হোসেন কয়েছ মোহামেডানের সাব্বির-কাননদের মনে করিয়ে দিয়েছেন।

সবচেয়ে বেশি এসিস্ট:– ‘এলবি২৪’ এর শাহ ইউসুফ সবচেয়ে বেশি এসিস্ট করেছেন। তারপরে যিনি বেশি এসিস্ট করেছেন তিনি হলেন ‘আবাহনী’র জিআর সোহেল। নিজ দলের প্রত্যেকটা গোলেই তারা কম বেশি অবদান রেখেছেন। হান্নান ভাই মাঠের বাইরে থেকে তাদের দু’জনকে বেশি বেশি পাস দেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন।

রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন:- খেলা শেষে ‘বাংলা পোস্ট’ ও ‘আইওএন’ টিভির খেলোয়াড়েরা রেফারির বিরুদ্ধে পক্ষপাত্বিতের অভিযোগ এনেছেন। তারা বলেছেন, রেফারি আমাদের ন্যায্য পেনাল্টি দেয়নি। রেফারি যদি মাঠে তাদের প্রতি একটু সদয় হতেন, যদি একটা, দুইটা পেনাল্টি দিতেন তাহলে তারাও প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠাতে সক্ষম হতেন। এভাবে গোলশূণ্যভাবে তাদের টুর্নামেন্টে শেষ করতে হতোনা বলে তারা মনে করছেন। ফিফায় অভিযোগ দেওয়ার কথাও তাদের কেউ কেউ বলেছেন।

ম্যানেজার ফ্যাক্টর:- যিনি খেলোয়াড় তিনিই আবার দলের ম্যনেজার, প্রায় প্রতিটা দলেই এমনটা দেখা গেছে। কেবল ব্যাতিক্রম ছিলো ‘ওয়ান বাংলা ফ্রেন্ডস ইউনাইটেড’। মোস্তাক বাবুলকে তারা ম্যানেজার নিয়োগ দিয়েছেন। মোস্তাক বাবুল এই দায়িত্ব খুব ভালোভাবেই সামলেছেন। এই কারণেই ‘ওয়ান বাংলা ফ্রেন্ডস ইউনাইটেড’ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বলে সমালোচকরা মনে করছেন।

চ্যাম্পিয়ন ‘এলবি২৪’ :- ‘ওয়ান বাংলা ফ্রেন্ডস ইউনাইটেড’ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ‘এলবি২৪’ নিজেদের চ্যাম্পিয়ন বলে দাবী করছে। এই ক্ষেত্রে তাদের যুক্তি হলো, গ্রুপ পর্বে আমরা ‘ওয়ান বাংলা ফ্রেন্ডস ইউনাইটেড’ কে ১-২ গোলে হারিয়েছি। ওরা আমাদের কাছে হেরেছে। আমরা ওদের কাছে হারিনি। কাজেই আমরাই প্রকৃত চ্যাম্পিয়ন।

হেডিং এর খোঁজে তাইসির মাহমুদ:- ম্যাচ শেষে তাইসির মাহমুদ তার ‘সাপ্তাহিক দেশ’ এ কী শিরোনামে এই মিডিয়া কাপের সংবাদ ছাপবেন, নিজ দলের বাজে পারফর্মেন্স আড়াল করে কী লিখবেন তা নিয়ে এমাদাদুল হক চৌধুরী ও বেলাল আহমেদের সাথে পরামর্শ করছিলেন। এমাদাদুল হক চৌধুরী বলছিলেন, শিরোনাম দিবা ‘শেষ ম্যাচে জিতে মিডিয়া ফুটবল কাপ’ থেকে বিদায় নিলো ‘সাপ্তাহিক দেশ’। বেলাল আহমেদও হেসে সায় দিলেন। তাইসির তাইসির মাহমুদও শিরোনামটা বেশ পছন্দ করলেন।

বাজি:- ‘চ্যানেল এস’ এবারও চ্যাম্পিয়ন হবে, মাঠের মুড়ি বিক্রেতাকে স্বাক্ষী রেখে এই নিয়ে দুইজন দর্শক বাজি ধরেছেন। বাজি হেরে ‘চ্যানেল এস’ কে গাল মন্দ করতে করতে হেরে যাওয়া সেই দর্শক বাড়ি ফিরেছেন।

কুসংস্কারমুক্ত টুর্নামেন্ট:- ফুটবল খেলোয়াড়েরা নানা রকমের কুসংস্কার মেনে চলেন। কেউ তার জার্সির হাত কেটে বাদ দেন, কেউ মোজা উল্টা করে পরেন, কেউ প্রতি খেলার আগে গোল লাইন পর্যন্ত তার এলাকায় বাঁ পা দিয়ে দাগ টেনে চিহ্নিত করে রাখেন, কেউ ‘মুড আনার জন্য’ প্রতিবার একই গান শোনেন বা পর্ণ ভিডিও দেখেন, কেউ লাল বা নীল রঙের আন্ডারওয়্যার পড়েন, কেউ মাঠে ঢোকার সময় প্রথম ডান পা ফেলেন, আর কেউ তার দল যখনই গোল করে, তখন তিনি গোল মুখে ফিরে এসে ছোট একটা লাফ দেন এবং বাঁ হাত দিয়ে গোল পোস্ট স্পর্শ করেন। লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাব আয়োজিত মিডিয়া কাপের ফুটবল খেলোয়াড়েরা এসব কুসংস্কারমুক্ত ছিলেন। কাউকে এ ধরনের কিছু করতে দেখা যায়নি।

প্রয়াত মিজান চৌধুরীও ছিলেন:- প্রয়াত মিজান চৌধুরী মাঠে না থেকেও ছিলেন। ‘বাংলা পোস্ট’ এর তারেক চৌধুরী এলোমেলো ছুটেছেন। তারেক চৌধুরীকে এলোমেলো ছুটতে দেখে একজন মহিলা দর্শক তারেক চৌধুরী পোস্ট চিনেন না বলে বিদ্রুপ করেছেন। মহিলার কথা শোনে ফিফটি এ্যাক্টিভ ক্লাবের একজন সদস্য ‘মিজান চৌধুরীর গোলপোস্ট’ প্রসঙ্গ তুলে বলেছেন, আপনি আজকে তারেক চৌধুরীকে যেমন বিদ্রুপ করছেন তেমনি আওয়ামী লীগের সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী একদিন সংসদে মিজান চৌধুরীকে বিদ্রুপ করে বলেছিলেন, মিজান চৌধুরী সাহেব যখন বক্তৃতা করতে দাঁড়ান তখন আমার মনে পড়ে পাগলা ফুটবলার রাজা মিয়ার কথা। রাজা মিয়ার পায়ে বল গেলে দু’দিকের গোলকিপারকেই সামাল থাকতে হতো। কারণ, রাজা মিয়া যে কখন কোন দিকে গোল দিবে তার কোনো ঠিক ছিল না। এরপর আত্মপক্ষ সমর্থনে মিজান সাহেব দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, আমার স্ত্রীর নাম সাজেদা চৌধুরী। তাই এ নামের প্রতি আমার বিশেষ দুর্বলতা আছে। মিসেস সাজেদা চৌধুরী আমার সাবেক রাজনৈতিক সহচরী। সেই যৌবনকাল থেকে দু’জনে আওয়ামী লীগ করেছি একসঙ্গে বহুকাল। আমাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতার কোনো অভাব ছিল না। আজ দুঃখ পেলাম মিসেস চৌধুরীর এই অভিযোগ শুনে যে, আমি নাকি সঠিক গোলপোস্ট চিনিনা। অথচ মিসেস চৌধুরী নিজে খুব ভালো করেই জানেন যে, আমি সঠিক গোলপোস্ট খুব ভালো করেই চিনি এবং দক্ষ শটে আমি সঠিক জায়গাতেই গোল করতে জানি। এখন আপনার কথা শুনে তারেক চৌধুরীও যদি মিজান চৌধুরীর মত এমন কিছু বলেন তখন আপনি কি উত্তর দিবেন! ভদ্র মহিলা নিচু স্বরে বললেন, সাংবাদিকরাও খেলতে জানেন, দক্ষ শটে গোলও করতে জানেন। বলে মুচকি হেসে স্থান ত্যাগ করলেন।

ইনজুরির হানা:- ‘সুরমা এন্ড পত্রিকা ইউনাইটেড’ এর শামসুল আলম লিটন ও ‘বিলেত’ এর শাহিন আহত হয়ে মাঠ ছেড়েছেন। শামসুল আলম লিটন শ্বাসকষ্টে ভুগেছেন। শাহিনের মাথার আলগা চুল খুলে পড়ে যাওয়ায় খোলোয়াড় ও দর্শকরা প্রথমে খুবই ভয় পেয়েছেন। দর্শকরা ভেবেছেন শাহিনের মাথা খুলে পরে গেছে। যাইহোক, পরে গিয়ে তিনি মাঠেই জ্ঞান হারিয়েছেন। এম্বুলেন্স আসার আগেই তিনি অবশ্য আ.স.ম মাসুমের চেষ্টায় জ্ঞান ফিরে পেয়েছেন। বাসায় গিয়ে তারা ভালো আছেন জেনে খোলোয়াড় ও দর্শকরা স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলেছেন।

স্টার অব দ্যা ডে:- ‘বিলেত’ এর শাহিন মাঠে পরে জ্ঞান হারালে খেলা বন্ধ করে আ.স.ম মাসুম যেভাবে তার মুখে নিজের মুখ লাগিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস চালু রাখতে সাহায্য করেছেন, মাসুমের চেষ্টায় যেভাবে তিনি জ্ঞান ফিরে পেয়েছেন তা দেখে দর্শকরা আ.স.ম মাসুমকেই ‘স্টার অব দ্যা ডে’ বলেছেন।

লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাব ইজ দ্যা বেস্ট:- খেলা শেষে লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি মোহাম্মদ জুবায়ের ক্লাবের এক্সিকিউটিভ মেম্বার কাইয়ুম আব্দুল্লাহ, এমরান আহমেদ, রেজাউল করিম মৃধা ও অন্যান্যদের নিয়ে মাঠের পাশে পরে থাকা পানির বোতল, কলার খোসা, বিরিয়ানির পরিত্যক্ত কনটেইনার পরিস্কার করেছেন, ব্যাগে ভরে বিনে রেখে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কাজটা সহজ করেছেন, তা দেখে মাঠের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা খুবই খুশি হয়েছেন। বলেছেন, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাব ইজ দ্যা বেস্ট।