নিজস্ব প্রতিবেদক: সুনামগঞ্জের ছাতকে নাজমীন আক্তার (২৬) নামের এক গৃহবধূর লাশ মিললো পুকুরে। থানা পুলিশ সোমবার সকালে স্বামীর বাড়ির পুকুর থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ গৃহবধূর স্বামীকে আটক করেছে। দুপুরে ছাতক সার্কেল এএসপি বিল্লাল হোসেন ও থানার ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার ছৈলা আফজলাবাদ ইউনিয়নের লাকেশ্বর গ্রামের ছুরাব আলীর কন্যা নাজমীন আক্তারকে প্রায় চার বছর আগে বিয়ে দেন একই উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের কাটাশলা গ্রামের সমর আলীর পুত্র সুমনের সাথে। মোজাম্মেল নামের ৯মাসের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। সম্প্রতি ওই গৃহবধূকে মারধরসহ নির্যাতনের অভিযোগ উঠে স্বামী-শাশুড়িদের বিরুদ্ধে। যে কারণে গত ১৭ সেপ্টেম্বর পুত্রকে নিয়ে পিত্রালয়ে চলে যান নাজমীন। পারিবারিকভাবে বিষয়টি নিস্পত্তি করে ২ অক্টোবর পুত্র বধূকে বাড়িতে নিয়ে নেন শশুর সমর আলী। কিন্তু ৩ অক্টোবর সকালে তাদের কন্যাকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানানো হয় ছুরাব আলীর পরিবারকে।
এ বিষয়ে ছুরাব আলী বাদি হয়ে জামাতা সুমন মিয়া, তার পিতা সমর আলী ও মাতা দিলারা বেগমকে অভিযুক্ত করে ওইদিন রাতেই ছাতক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে, নিখোঁজের একদিন পর সোমবার সকালে স্বামীর বাড়ির পুকুর থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। স্বামীর বাড়ির লোকজন পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে পুকুরের পানিতে ফেলে রেখেছে বলে নিহতের ভাই রিপন আলীর অভিযোগ।
এ ব্যাপারে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ নাজিম উদ্দিন জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে। হত্যা না আত্মহত্যা এ বিষয়ে কিছুই বলা যাচ্ছে না। লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। আপাদত থানায় অপমৃত্যুর মামলা নেয়া হবে।
পুকুরে ভাসমান লাশের ছবি