নিজস্ব প্রতিবেদক: সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্টে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রস্তাবিত দক্ষিণ ছাতক উপজেলায় গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ও ছৈলা আফজলাবাদ ইউনিয়নকে অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহারের দাবীতে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার বেলা ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত প্রতিবাদ সমাবেশ চলাকালে সিলেট-সুনামগঞ্জ ও ছাতক সড়কে প্রায় দুই ঘন্টা সব ধরণের যানচলাচল বন্ধ ছিল।
গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাবেক ছাত্রনেতা কাওছার আহমদ এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুর আলমের যৌথ পরিচালনায় আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ছৈলা আফজলাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মখলিছুর রহমান, ছৈলা আফজলাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ফিরোজ আলী, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সুন্দর আলী ও নিজাম উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফারুক আহমদ, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক, সহ-সভাপতি ফারুক আহমদ সরকুম, জাপা নেতা আবুল লেইছ মো. কাহার, আওয়ামীলীগ নেতা খালেদ হাসান, গৌছ উদ্দিন, মাস্টার নাছির উদ্দিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ওবায়দুর রউফ বাবলু, সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক মানব সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক এমএ গফ্ফার, উপজেলা যুবলীগ নেতা আবু হানিফা সায়মন, জুসেফ আহমদ, হারুন মিয়া, আবদুল হান্নান আঙ্গুর, যুবদল নেতা সদরুল আমীন সোহান, আতাউর রহমান এমরান, আলী আশরাফ তাহিদ, আশরাফুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা জালাল উদ্দিন, মাওলানা মখছুছুর রহমান, কাজী মাওলানা আবদুস সামাদ, হুসাইুজ্জামান লিটন, পল্লী বিদ্যুৎ পরিচালক সুয়েব আহমদ, অবসর প্রাপ্ত সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম চান মিয়া, ইউপি সদস্য হুসাইন আহমদ লনি, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক তাজাম্মুল হক রিপন, ডালিম, কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আতাউর রহমান সোহাগ প্রমুখ। এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আবদুস সামাদ, আবদুল করিম, মাস্টার আবদুল লতিফ, বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদ ছাতক উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন দাশ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা এনামুল হকসহ দুই ইউনিয়নের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনীতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বেলা ২টা থেকে গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ও ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ব্যানারে মিছিল সহকারে প্রতিবাদ সমাবেশে জড়ো হতে থাকেন জনতা। এক ঘন্টায় গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্ট সমাবেশস্থল কানায়কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে সিলেট-সুনামগঞ্জ ও ছাতক সড়কে সকল ধরণের যানচলাচল আটকা পড়ে। বিক্ষুব্ধ জনতা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে তিন পাশে যাত্রী ও মালবাহী অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে। চরম দূর্ভোগে পড়েন যাত্রী সাধারণ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ও ছৈলা আফজলাবাদ ইউনিয়নবাসী ছাতক উপজেলার সাথে ছিল আছে এবং থাকবে। এতে যে কোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে দুই ইউনিয়ের জনগণ প্রস্তুত। প্রয়োজনে রাজপথে রক্ত দিতেও তারা প্রস্তুত আছেন। তার পরও প্রস্তাবিত দক্ষিন ছাতক উপজেলায় অন্তর্ভুক্তি করা যাবে না গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ও ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নকে। ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্যে বক্তারা হুশিয়ারি করে বলেন, ভুলে গেলে চলবেনা, এটি সুনামগঞ্জের প্রবেশদ্বার গোবিন্দগঞ্জ। দক্ষিণ ছাতক অন্যান্য ইউনিয়ন নিয়ে করেন, বাঁধা নেই। দলমত নির্বিশেষে আগামীতে শান্তিপূর্ণ ভাবে সকল আন্দোলন সফল করতে দুই ইউনিয়নের সর্বস্থরের গনগণকে আহবান জানান বক্তারা।