• ১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ৬ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

ভারী বর্ষন ও পাহাড়ী ঢলে তলিয়ে গেছে ছাতকের রোপা-আমনের অনেক বীজতলা

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত আগস্ট ২৬, ২০২১
ভারী বর্ষন ও পাহাড়ী ঢলে তলিয়ে গেছে ছাতকের রোপা-আমনের অনেক বীজতলা

 

বিবিএন ডেস্ক: ছাতকে ভারী বর্ষন ও পাহাড়ী ঢলে উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি তলিয়ে গেছে রোপা-আমন ক্ষেত ও বীজতলা। বর্তমানে সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীর পানি বিপদসীমার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শতকরা ৭০ভাগ রোপা-আমনের বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া রোপনকৃত আমন জমি ও পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে বিরাজ করছে হতাশা। শাক-সবজীর বাগানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অতিবৃষ্টির কারনে। ভারী বর্ষন অব্যাহত থাকায় দ্রুত সময়ে পানি না কমার আশংকাও করছেন এখানের কৃষকরা। পানি না কমলে নতুন বীজতলা প্রস্তুত ও জমিতে চারা বোপন করার সম্ভাবনা কম। উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নেই রোপা-আমন ফসলও চারার কম-বেশী ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন। এর মধ্যে নোয়ারাই, ইসলামপুর, কালারুকা, চরমহল্লা, ভাতগাঁও, সিংচাপইড় ও উত্তর খুরমা ইউনিয়নে তুলনামুলক বেশী ক্ষতি হয়েছে।নোয়ারাই ইউনিয়নের সদস্য ছাদিক মিয়া জানিয়েছেন,ইউনিয়নের লক্ষীভাউর,চরভাড়া,কাড়ইল গাও,মির্জাপুর এলাকার কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে।এখানে রোপা আমনের সব বীজ তলাই তলিয়ে গেছে। উত্তর খুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ জানান, ইউনিয়নের রুক্ষা, আমের তল, বিহাই,গদার মহল, ফুরকান নগর,জামিরখাই,এলংগি, রাজার গাও,মোহন পুর,নাদামপুর,পলিরটুক,রসুলপুর এলাকার কৃষকদের বীজতলা ও রোপা আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়,চলতি মৌসুমে এখানে রোপা-আমন ধানের জন্য ৭০৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা প্রস্তুত করা হয়েছিল। এর মধ্যে অধিকাংশ বীজতলাই পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। ইতিমধ্যেই উপশী জাতের ৪ হাজার ৩৮০ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ২৩ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন চাষাবাদ করা হয়েছিল। অতিবৃষ্টির কারনে বেশ কিছু রোপনকৃত জমির রোপা আমন নষ্ট হয়ে গেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খান জানান, কৃষকদের ক্ষতি পোষানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।