আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আন্তর্জাতিক লবিং শেষে আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করতে রাজধানী কাবুলে পৌঁছেছেন তালেবানের উপ-প্রধান মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার।
দোহা থেকে মঙ্গলবার প্রথমে আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কান্দাহারে যান তিনি। সেখান থেকে শনিবার তিনি কাবুল গেছেন। খবর বিবিসির।
তালেবানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, আব্দুল গনি বারাদার এখন সবার অংশগ্রহণে একটি সরকার গঠনের উদ্দেশ্যে জিহাদি নেতা ও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
বারাদার কাতারের দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক অফিসের প্রধান। আন্তর্জাতিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য এতদিন তিনি সেখানে অবস্থান করছিলেন।
আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর তালেবানের যেসব শীর্ষস্থানীয় নেতা এখন দেশটির মধ্যে অবস্থান করছেন, মোল্লা বারাদার তাদের একজন। ধারণা করা হচ্ছে নতুন আফগান সরকারে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।
যে চারজন ১৯৯৪ সালে তালেবান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, বারাদার তাদের মধ্যে একজন। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযানে ২০০১ সালে তালেবান সরকার উৎখাত হওয়ার পর তিনি এই গ্রুপটির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতা হয়ে ওঠেন।
সবার কৌতূহল এই তালেবানের নেতৃত্বে এবার কী ধরনের সরকার গঠিত হয় তা দেখার জন্য। তালেবান ইতোমধ্যে সবার অংশগ্রহণে রাষ্ট্র পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
রাজনৈতিক নেতা সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এবং আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ এখনও কাবুলে অবস্থান করছেন। আলোচনা করছেন তালেবানের নেতাদের সঙ্গে।
তালেবানের আরও এক নেতা যাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের পক্ষ থেকে আহবান জানানো হয়েছিল, সেই খলিল হাক্কানিকেও রাজধানী কাবুলে দেখা গেছে। তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বড় ধরনের অর্থ পুরষ্কার ঘোষণা করেছিল।
শুক্রবার তাকে দেখা গেছে সশস্ত্র ব্যক্তি পরিবেষ্টিত অবস্থায়। তাকে একটি মসজিদে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতেও দেখা গেছে। এদিকে আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য এখনও বহু মানুষ কাবুল বিমানবন্দরে জড়ো হচ্ছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, তারা এ পর্যন্ত ১৩ হাজার লোককে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
লোকজনের এই পালানোর চেষ্টায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তালেবানের বিরুদ্ধে। বলা হচ্ছে শহরের যে এয়ারপোর্ট রোড ধরে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে হয় সেই সড়কে তালেবান কিছু তল্লাশি চৌকি স্থাপন করেছে। সশস্ত্র তালেবান নেতারা বিমানবন্দরের চারপাশে টহল দিচ্ছে বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে।
কিন্তু তালেবানের এক নেতা লোকজনকে বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে বাধা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।