শিশু-কিশোরদের নামাজের প্রতি আকৃষ্ট করতে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছিলো দক্ষিণ সুরমার নগরীর কায়েস্থরাইল সমাজ কল্যাণ সমিতি। সেই ঘোষণায় আকৃষ্ট হয়ে টানা ৫০ দিন তাকবীরে উলার সাথে জামাতে নামাজ পড়ে পুরস্কার জিতে নিয়েছে কায়েস্থরাইল, বারখলা, দাউদপুর, মুছারগাঁও এলাকার ১২২ জন কিশোর।
এরমধ্যে সাইকেল পুরস্কার পেয়েছে ৫৯ জন। অন্যদের ডিনারসেট, বাংলায় অনুবাদসহ কোরআন শরিফ, টুপি, তসবিহসহ নামাজ শিক্ষার বই পুরস্কার হিসেবে প্রদান করা হয়।
কায়েস্থরাইল সমাজ কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে প্রবাসীদের অর্থায়নে সমিতির কার্যালয়ে শুক্রবার ২০শে আগষ্ট রাত ৯টায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কয়েকদিন আগে কায়েস্থরাইল সমাজ কল্যাণ সমিতি ঘোষণা দিয়েছিলো যে, শিশু কিশোররা যদি একটানা তকবীরে উলার সাথে ৫০ দিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করে, তাহলে তাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে। সে ঘোষণায় উৎসাহিত হয়ে কায়েস্থরাইল গ্রামসহ আশপাশ এলাকার ১২২ জন শিশু কিশোর নামাজ আদায় শুরু করে। টানা ৫০ দিন নিয়মিত জামাতে নামাজ পড়েছে তারা।
কায়েস্থরাইল ওয়াকফ এস্টেট (দাউদপুর, মুছারগাঁও, বারখলা) জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মাহবুব আহমদ নাঈমীর সভাপতিত্বে ও কায়েস্থরাইল সমাজ কল্যাণ সমিতির সভাপতি জহির হুসেন রাসেলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন- সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাকবির ইসলাম পিন্টু, সমিতির সাবেক সভাপতি কফিল উদ্দিন আলমগীর, কায়েস্থরাইল সমাজ কল্যাণ সমিতির প্রধান উপদেষ্টা আব্দুল আহাদ কুহিনুর, নিজাম উদ্দিন, সামস উদ্দিন রফিক, মুছারগাঁও এলাকার মুরব্বি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, আনহার হোসেন রোশন, সমিতির উপদেষ্টা নুর আহমদ খান সাদেক, বারখলা রূপালী যুব সংঘের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহজাহান কবির রিপন, এস.এম মুছা প্রমুখ।
এ সময় অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক সমিতির সহ-সভাপতি তারেক উল ইসলামসহ এলাকার মুরব্বিয়ান ও যুব সমাজ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মেয়র আরিফ বলেন, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিশুরা টানা চল্লিশ দিন মসজিদে এসে নামাজ আদায় করেছে এতে তারা মসজিদে আসতে জড়তা বা অলসতা কেটে গেছে। জামায়াতে ৪০ দিন টানা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ায় তারা নামাজে অভ্যস্ত, নামাজের প্রতি আগ্রহ বা ভালোবাসা সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পুরস্কার হিসেবে পাওয়া সাইকেল যানবাহনটি চালিয়ে শিশুদের শারীরিক ব্যায়ামের কাজ সম্পন্ন হবে এবং শিশুরা সময় কাটাতে পারবে এতে তাদের মাঝে মোবাইল, অনলাইন গেম আসক্তি কিছুটা হলেও কমবে এবং শিশুরা শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে।
এর আগে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পীরে কামিল মুফতি মাওলানা রশিদুর রহমান ফারুক (পীর সাহেব বরুনা) বাদ’এশা কায়েস্থরাইল ওয়াকফ এস্টেট দাউদপুর, মুছারগাঁও, বারখলা জামে মসজিদে প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনকারী শিশু কিশোরদের কল্যাণে ও করোনা ভাইরাস থেকে বিশ্বের সকল মানুষকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের দরবারে বিশেষ মোনাজাত করেন।