ছাতক(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি,সুনামগঞ্জের ছাতকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন প্রকল্প প্রজেষ্ট`এর পরিচালক ও সহকারি পরিচালক বোর্ডের অভ্যন্তরে চরম অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, দায়িত্বহীনতা, ঘুষ গ্রহণ, জালিয়াতি, প্রতারণা ও সীমাহীন দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২২ হাজার গ্রাহকদের জরাজীন পুরাতন ভাঙ্গা খুটি ও নতুন ক্যাব তার দিয়ে কাজে জন্য সরকার প্রায় তিন হাজার ৬শ`খুটি (খাম্বা) ও ১৯শ`কোটি টাকা প্রকল্পের কাজ শুরু করেন সিলেটের পিডিবি উন্নয়ন প্রকল্প অফিস। এসব কাজের জন্য বরাদ্ধ করেন জাইকার (জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি) অর্থায়নে ‘সেন্ট্রাল জোন পাওয়ার ড্রিস্ট্রিবিউশন প্রজেক্ট’ নামে পাঁচ বছর মেয়াদী বিশেষ এ প্রকল্প ঠিকাদারের মাধ্যমে ১৯শ` কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পিডিবি।এ প্রকল্প
এ অফিসে পরিচালক,কর্মকতা কর্মচারিদের বিরুদ্ধে রয়েছে ব্যাপক লুটপাট, অনিয়ম, দুর্নীতি ও পুরাতন বিদুৎ লাইন নতুন করে মেরামতের নামে ৩৫ টি গ্রামে বিদুৎ গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়,এ প্রকল্প অফিসের মাধ্যমে ছাতক,দোয়ারাবাজার,শান্তিগঞ্জ বিশ্বনাথের বিভিন্ন গ্রামে জরাজীর্ণ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সংস্কার করার জন্য এক হাজার ৯ শ`কোটি টাকা বরাদ্ধ করা হয়। এ প্রকল্পে বিনামূল্যে পুরোনো জরাজীর্ণ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সংস্কার করে নতুন খুঁটি, সঞ্চালন লাইন ও ট্রান্সফরমার স্থাপনের কথা। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগের এসব উন্নয়ন প্রকল্পের নামে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার, ইঞ্জিনিয়ার ও পিডিবির কিছু অসাধু কর্মকর্তারা যোগসাজেশ করে মেতে উঠেছেন ঘুষ-বাণিজ্যে। নতুন লাইন, খুঁটি, ট্রান্সফরমার বসিয়ে দেয়া ও এমনকি পুরাতন লাইন সংস্কারের নাম করে ঠিকাদার ও অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একযোগে সাধারণ গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকার ঘুষ। এসব গ্রামগুলো হচ্ছে,কৈতক,চেচান,রাজনপুর,পরেশপুর,বাউর,আকিজাল,খিদাকাপন,খারারাই,বোকার ভাঙ্গা, মুলতানপুর,পিঠাখই, দেওকাপন, চুরখাইসহ প্রায় ৩৫ টি গ্রাম থেকে প্রকল্প অফিসে একটি সিন্ডিকেট চত্রু`র মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন বলে গ্রাহকরা অভিযোগ করে তাদের বিরুদ্ধে।
ছাতক ও শান্তিগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন গ্রাম থেকে “সিলেট এক প্রতারক” পিডিবি প্রকল্প অফিসের নিবাহী প্রকৌশলী নাম ভাঙ্গিয়ে”ছাতকে চেচার গ্রামে জামাই সিলেটে টুকের বাজার এলাকার জনৈক বিহাম ও ঠিকাদার আব্দুল আজিজসহ এ চত্রেুর বিরুদ্ধে বিদুৎ গ্রাহকদের কাছ প্রায় ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ঠিকাদার আব্দুল আজিজ এলাকা ছেড়ে পলায়ন করেছে বলে গ্রাহকরা অভিযোগ করেন।
এসব গ্রামে প্রকল্পের বরাদ্দ কত টাকা, কর্মপরিধি, ড্রয়িং এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে এ নিয়ে পিডিবি ও প্রকল্প অফিসে সংশ্লিষ্টরা লুকোচুরি শুরু করেছে। ফলে মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড।
এ প্রকল্প অফিসের অধীনে ২য় দফার প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কাজ শেষ না হওয়ায় মেয়াদ বাড়ানো হয়। পিডিবির গ্রাহকদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এ সকল সুবিধা পাওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পের কর্মকতাদের নানা রকম দোহাই দিয়ে ঠিকাদার ও কাজ তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পুরোনো বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ও খুঁটি পরিবর্তনে গ্রাহকদের কাছ থেকে ইচ্ছামতো ঘুষ আদায় করছেন। নতুন খুঁটি দিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নিমান করার নামে তিনহাজার ৬ শতাধিক নতুন খুঁটি স্থাপন করার কথা থাকলেও ৫শ` খুঁটি স্থাপন করা হয়েছে বলে সুত্রে জানায়। এদিকে উত্তর খুরমা ইউপির আলমপুর,মানজিহারা গ্রাম গুলোতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনগুলো অনেক জরাজীর্ণ ও ঝুকিপূর্ণ। এখানে নেই কোন খুঁটি, বাশঁ ও গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বিদ্যুতের তার। পুরোনো এবং গাছের সাথে ঝুলানো থাকায় প্রায়ই তার ছিড়ে যাওয়াসহ ছোট বড় অনেক প্রানহানি দুর্ঘটনা ঘটনা প্রতিনিয়ত। নতুন সঞ্চালন লাইন ও খুঁটি না বসানোয় এই এলাকার ৩ শতাধিক গ্রাহক ব্যাপক ঝুঁকিতে রয়েছেন। নতুন সঞ্চালন লাইন থেকে বঞ্চিত করে রাখা হচ্ছে। এসব এলাকার গ্রাহকরা অভিযোগ করেন চাদা তুলে টাকা দিতে না পারায় তাদের এলাকায় নতুন বিদ্যুৎ লাইন ও খুঁটি বসানো হয়নি।
এব্যাপারে প্রকল্পের পরিচালক (পিডিবি) নিবাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হক জিয়া তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন বিহাম নামে তার অফিসে কেউ নয়। তার অধীনে সিলেট বিভাগে বিভিন্ন অঞ্চলে এ রকম বেশ কয়েকটি প্রজেক্টের কাজ চলছে। তাই আলাদা করে এখানে (ছাতক দোয়ারাবাজার ও শান্তিগঞ্জ বিশ্বনাথ)আংশিক কত টাকা বরাদ্দ সেটা বলা যাচ্ছে না।