আন্তজার্তিক ডেস্ক: কাবুলের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে চলে যাওয়ার পর আফগানিস্তানে আলোচনার মাধ্যমে একটি নতুন সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।
সোমবার আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে এক জরুরি বৈঠক থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।
১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ সম্মিলিত একটি বিবৃতি দিয়ে আফগানিস্তানে অবিলম্বে সব ধরনের সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।
একইসঙ্গে সবার অংশগ্রহণে আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি নতুন সরকার গড়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে, যে সরকার হবে ঐক্যবদ্ধ, সবার অংশগ্রহণমূলক, প্রতিনিধিত্বমূলক এবং যেখানে নারীদেরও অংশগ্রহণ থাকবে।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সোমবার “আফগানিস্তানে বৈশ্বিক সন্ত্রাসের হুমকি মোকাবেলায়’ সব হাতিয়ারকেই কাজে লাগানো এবং তালেবানের মানবাধিকার বিশেষ করে, নারী অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বের দেশগুলোকে আহ্বান জানান।
এরপরই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ থেকে আফগানিস্তানে নতুন সরকার গড়ার ওই আহ্বান এল। গুতেরেস নিরাপত্তা পরিষদে বলেন, “আমরা আফগান জনগণকে পরিত্যাগ করতে পারি না, সেটি করা উচিতও না।”
তালেবান জঙ্গিরা রোববার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে উপস্থিত হওয়ার পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি। এরপর তালেবান আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট প্রসাদেরও দখল নেয়। এ পরিস্থিতিতেই সোমবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদরদপ্তরে জরুরি বৈঠক বসে।
গুতেরেস আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এবং সার্বিকভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো যাতে হুমকি কিংবা হামলার শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে আফগানিস্তানে সহিংসতা মোকাবেলাকে গুরুত্ব দিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।
জাতিসংঘে চীনের উপ-রাষ্ট্রদূত গেং সুয়াং বলেছেন, “আফগানিস্তানকে আবার সন্ত্রাসীদের স্বর্গভূমি হতে দেওয়া যাবে না। আমরা আশা করি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তালেবান পরিষ্কারভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করে বেরিয়ে আসবে।”