ছাতকপ্রতিনিধি:এতিম কিশোরী স্কুল ছাত্রী সৎ মাকে জুনু বেগমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও কুখ্যাত ধর্ষক মাহমদ আলীকে দীঘ আড়াই মাসে ও এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। সৎ মায়ের সহযোগীতায় মেয়েকে ধর্ষণ করলো মাহমদ আলী। সে ছাতক উপজেলার কালারুখা ইউনিয়নের বোবরাপুর গ্রামের আছমত আলীর পুত্র। ভিকটিমের সৎ মা জুনু বেগমের সঙ্গে ধর্ষক ছাতকে মাহমদ আলীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত ৩ জুন ভিকটিমের সৎ মা জুনু বেগম স্বামী সিরাজ মিয়াকে চায়ের সাথে নেশা পান করিয়ে মেয়েকে জোরপূর্বকভাবে সুনামগঞ্জ সদর থানার সুরমা ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর সদরগড় গ্রামের পিত্রালয় থেকে সিলেটে নিয়ে যায় এবং সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন আবাসিক হোটেলের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে মেয়েকে তালাবদ্ধ করে রেখে মাহমদ আলীর দিয়ে একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটায়।
এ ঘটনায় ইব্রাহিমপুর পশ্চিমহাটি গ্রামের আশরাফ আলীর মেয়ে ও ভিকটিমের খালা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন সংশোধন আইন ২০২০ এর ৭,৯ (১) ও ৩০ ধারায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বিজ্ঞ আদালত তদন্তপূর্বক এফআইআরক্রমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুনামগঞ্জ সদর থানার পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। মামলায় ধর্ষক মাহমদ আলী(৩৫) ও তার প্রধান সহযোগী সৎ মা জুনু বেগম(৩৫)সহ অজ্ঞাত লোকদেরকে আসামী করা হয়। ঘটনার পর থেকেই জুনু পিত্রালয়ে এসে আত্মগোপন করেছিল।
জানা যায়, ভিকটিমের মা মারা গেলে জুনু বেগম সিরাজকে ব্ল্যাকমেইল করে ইব্রাহিমপুর সদরগড় গ্রামে শ্বশুড়ালয়ে নিয়ে আসে। ভিকটিম নানা-নানীর সংসারে বড় হয়। ৯ বছর বয়সের সময় নান- নানীর কাছ থেকে সিরাজ তার মেয়েকে নিজের কাছে নিয়ে যান। জুনু বেগম ৯ বছর বয়স থেকেই ভিকটিমকে দিনের পর দিন অকথ্য নির্যাতন চালায়। এ ঘটনায় ইব্রাহিমপুর সদরগড় গ্রামে জুনু বেগমের বিরুদ্ধে একাধিকবার সামাজিক সালিশ অনুষ্টিত হয়। জুনু বেগম খুব অসৎ চরিত্রহীনা, মাদক ও না’রী ব্যবসায়ী মদ্যপায়ী মহিলা। সে তার স্বামীর চোখ ফাকি দিয়ে ১৫ দিন পরপরই পিত্রালয়ে যাওয়ার কথা বলে সিলেট শহরের বিভিন্ন হোটেলে গিয়ে দেহ ব্যবসায় লিপ্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তার পরিবারের লোকজন ।
এছাড়া পরিবার ও গ্রামের প্রতিবাদী লোকজনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলার হুমকী দিয়ে অনেকের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের ঘটনায়ও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আসামী জুনু বেগমকে গ্রেপ্তার করলেও ধর্ষক মাহমদকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি সহিদুর রহমান ও ছাতক থানার ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন জানান,ধর্ষন মামলার আসামী ধর্ষক মাহমদ আলীকেও গ্রেপ্তারের জন্য ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং পুলিশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।