• ৩রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৪ঠা শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

ব্রিটেনের লাল তা‌লিকা থেকে ভারত বাদ, থাক‌ছে বাংলা‌দেশ

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত আগস্ট ৫, ২০২১
ব্রিটেনের লাল তা‌লিকা থেকে ভারত বাদ, থাক‌ছে বাংলা‌দেশ

বিবিএন ডেস্ক: ভারতীয় করোনা ভাইরাসের জেড়ে যুক্তরাজ্য থেকে শুরু করে সারা পৃথিবী এখনও কুপোকাত, সেই ডেল্টার উৎপত্তি স্থল ভারতকে লাল তালিকা থেকে বাদ দিয়ে হলুদ তালিকায় নিতে চলেছে ব্রিটেন। ব্রিটেনের লাল তালিকা থেকে হলুদ তালিকায় ভারত গেলেও বাংলাদেশের জন্য এখনই কোন সুখবর নেই। তার মানে বাংলাদেশ  থেকে যাচ্ছে ব্রিটেনের লাল তালিকায়।

গতাকালও ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৪৩ হাজার মানুষ। একই সাথে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচশ মানুষ। এদিকে বাংলাদেশে গতকাল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৮১৭  জন মানুষ ও প্রাণ হারিয়েছেন ২৪১ জন । যেখানে ভারতে বাংলাদেশের তুলনায় কয়েকগুন আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা বেশি তারপরও ভারতকে লাল তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কথা ভাবলেও বাংলাদেশকে নিয়ে নতুন কোন স্বিদ্ধান্ত নেয়নি ব্রিটেন।

শুধু যে ভারত তাই নয়, বাহরাইন, কাতার এবং ইউনাইটেড আরব আমিরাত থেকে ব্রিটেনে প্রবেশ করলে হোটেল কোয়ারেন্টাইনের প্রয়োজন হবে না। তার মানে এই দেশগুলোও যুক্ত হলো দেশটির হলুদ তালিকায়।

সরকারের ট্রান্সপোর্ট ও ট্রাভেল বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী রবিবার থেকে চারটি দেশ হলুদ তালিকায়  যুক্ত হচ্ছে। একই সাথে সাতটি দেশ যুক্ত হচ্ছে সবুজ তালিকায়।

তার মানে ভারতসহ হলুদ তালিকাভুক্ত নতুন তিনটি দেশ থেকে আগত যাত্রীদের যদি করোনার টিকার দুই ডোজই দেওয়া থাকে তাহলে হোম কোয়ারেন্টাইনেরও প্রয়োজন হবে না। তবে যদি টিকা দেওয়া না থাকে তাহলে হোম কোয়ারেন্টাইনের প্রয়োজন আছে।

এদিকে ব্রিটেনে নতুন করে সবুজ তালিকায় যুক্ত হচ্ছে জার্মানী, অস্ট্রিয়া, স্লোভেনিয়া, স্লোভাকিয়া, লাটভিয়া, রোমানিয়া এবং নরওয়ে। নতুন করে এই সাত দেশ সবুজ তালিকায় যুক্ত হওয়ার কারনে এই সব দেশ থেকে আগত যাত্রীদের কোন ধরনের কোয়ারেন্টাইনের প্রয়োজন নেই।

গত সপ্তাহেই দেশটি ট্রান্সপোর্ট সেক্রেটারী গ্রান্ট শ্যাপস জানিয়েছিলেন, দেশটিতে আস্তে আস্তে করে বর্ডারের ক্ষেতে যে সব বিধি নিষেধ গুলো আছে তা তুলে দেওয়া হবে।

এর আগে ডেন্টায় যখন ভারতে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ লাখ মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলো তখনও ব্রিটেন ভারতকে লাল তালিকাভুক্ত করেনি। বরং তার আগেই বাংলাদেশকে লাল তালিকাভুক্ত করে। এরপর সরকারের বর্ডার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সমালোচনা তৈরি হলে ব্রিটিশ সরকার ভারতকে লাল তালিকায় নেয়।