• ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্টার চাইতে বড় আদর্শ আর কিছু নেই, ব্যারিষ্টার রাজ্জাক

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত জুলাই ২৬, ২০২১
কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্টার চাইতে বড় আদর্শ আর কিছু নেই, ব্যারিষ্টার রাজ্জাক

সিলেট প্রতিনিধিঃ এবি পার্টি সিলেট বিভাগের ভার্চুয়াল সম্মলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও রাজনীতিবীদ ব্যারিষ্টার আব্দুর রাজ্জাক। গত রোববার ভার্চুয়াল এই সম্মেলনে তিনি বলেন,

কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চাইতে বড় আদর্শ আর কিছু হতে পারেনা। কল্যাণরাষ্ট্রের আহ্বান ও রূপরেখা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।

২৫ জুলাই ২০২১ রবিবার রাত নয়টায় এবি পার্টি সিলেট বিভাগের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক ভার্চুয়াল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাবেক ছাত্রনেতা নাজমুল হুদা অপু’র সঞ্চালনা ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খ্যাতিমান আইনজীবী এবি পার্টির প্রধান উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন দলের আহ্বায়ক সাবেক সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরী।

সিলেট বিভাগের জেলাসমূহের প্রতিনিধি ও সংগঠকগণ ছাড়াও প্রবাসী সিলেটি নেতৃবৃন্দ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, একটি দলের সাফল্যের জন্য দুটি জিনিষ গুরুত্বপূর্ণ, প্রথমটি হলো দলের কর্মসূচি এবং দ্বিতীয়টি হলো দলের নেতৃত্বের গ্রহণযোগ্যতা। তিনি বলেন এবি পার্টি নিয়ে মানুষের আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশিষ্ট নাগরিকেরা এর প্রতি উৎসাহী, তাই আমি খুব আশাবাদী। তিনি বলেন, কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চাইতে বড় আদর্শ আর কি হতে পারে? মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করাই হচ্ছে একটি প্রকৃত রাজনৈতিক দলের মূল আদর্শ। আমাদেরকে কল্যাণরাষ্ট্রের আহ্বান ও রূপরেখা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে এবং ভালো ভালো লোকদের দলে যুক্ত করতে হবে, তাহলে আমরা অবশ্যই সফল হবো। ছাত্ররাজনীতি সম্পর্কে নিজের অভিমত ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ছাত্রদের মূল কাজ হলো লেখাপড়া করা। কিন্তু জাতীয় সংকট দেখা দিলে ছাত্ররা অবশ্যই রাজনীতিতে যুক্ত হবে।
উন্নত দেশের মতো আমাদের দেশের ছাত্ররাও রাজনীতি শিখবে কিন্তু জাতির অনিবার্য প্রয়োজন দেখা না দিলে তারা রাজনীতি করবে না। তিনি আরও বলেন আমরা ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের মেধা ও যোগ্যতা কে কাজে লাগাবো। আমাদের সংবিধানে নাগরিকদের মধ্যে সংখ্যালঘু বলে কোন কথা নাই। দলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও চর্চা হবে আমাদের অঙ্গীকার। এবি পার্টি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে চলবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

প্রধান বক্তা এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, সকল সংগ্রাম ও অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সিলেটবাসী সবসময় অগ্রগামী থাকে। আজকের এই সম্মেলনে আপনাদের আগ্রহ-উদ্দীপনা দেখে আমি অভিভূত ও আনন্দিত। তিনি বলেন, হুমকি-ধমকি, চাপ যখন আসে, তখনই জেদ চাপে- সংগ্রামীরা এগিয়ে যায়। এবি পার্টি অগ্রসরতা ও প্রসারতার সেটাও একটা কারণ।

দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও ইউকে কমিটির আহ্বায়ক হারুনুর রশীদ বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামে সিলেটবাসী অনন্য ভূমিকা পালন করেছে। মুক্তিযুদ্ধের মূল অঙ্গীকার ছিল বৈষম্য দূর করা। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য স্বাধীন দেশে আমরা বৈষম্য রোধ করতে পারিনি বরং বৈষম্য বিভেদ আরও বেড়েছে। তিনি বলেন এবি পার্টি অধিকার ভিত্তিক রাজনীতি করবে। আমাদের রাজনীতি হবে ইনক্লুসিভ এবং রাষ্ট্র মেরামতের রাজনীতি।

এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জু বলেন,
বাংলাদেশের পাড়ায় পাড়ায় মুসলমানদের মসজিদ আছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের জন্য মন্দির, প্যাগোডা ও চার্চ আছে। এখানে সকল ধর্মের অবাধ ধর্ম পালন ও ধর্ম চর্চা প্রতিষ্ঠিত। সব ধর্মই তো শান্তির কথা বলে। কিন্তু আপনারা বলুন এই দেশে কি শান্তি আছে? নেই। কারণ এখানে সাম্য, ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত নেই। এবি পার্টি তাই সাম্য, ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করাকেই দলের লক্ষ্য এবং কর্মসূচি হিসেবে নির্ধারণ করেছে।

সহকারী সদস্য সচিব যুবনেতা সৈয়দ জুলকারনাইন জুম্মা বলেন এবি পার্টি হলো বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের রিফ্লেকশন। আমরা ধর্মহীন নই বরং ধর্মের মানবিক দিকগুলো সামস্টিক ভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমরা কাজ করছি।

এবি পার্টি ইউকে’র সদস্য সচিব ব্যারিস্টার সাইফউদ্দিন খালেদ বলেন দেশের জনগণের চাহিদা-ই হলো গণতন্ত্র। যে দেশের মানুষ যে ধরনের শাসন চায় সেটাই হলো সে দেশের জন্য গণতন্ত্র। তিনি বলেন এবি পার্টি’র নেতা কর্মীদের সকল দলের সাফল্য ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। কোন ধরনের
হীনমন্যতায় ভোগা যাবেনা। অতীত কে স্বীকার করতে হবে এবং নিজেকে সময়ের প্রয়োজনে বাস্তবতার ভিত্তিতে তৈরী করতে হবে।

সম্মেলনে দলের নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন দলের সহকারী সদস্য সচিব ও হবিগঞ্জ জেলা সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মোকাম্মেল হোসেন রবিন, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জাসদের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল মুমিত জরু, সিলেট জেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম সোহেল, সিলেট জেলা সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট হোসাইনুর রহমান লায়েস, সিলেট মহানগর যুব দলের সমন্বয়ক তানজিল নাফি, সুনামগঞ্জ জেলা সমন্বয়ক জসিম উদ্দিন, মৌলভীবাজার জেলা সমন্বয়ক আব্দুল মতিন।
সংগঠকদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন আরিফুল হক ইদ্রিস, মহিউদ্দিন ফয়সল, সৈয়দ আকরাম আল সাহান, মাইনউদ্দিন গাউস, অ্যাডভোকেট নাজিমুদ্দিন মুসতাক, মাহমুদুল হাসান, সাইফুদ্দিন আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম, খলিলুর রহমান, আল আমিন রাজু, মাওলানা জামিল আহমদ, লিমন সূত্রধর, উম্মুল আরা, মো. আজাদ, সনৎ কুমার দাস, ইন্জিনিয়ার আশরাফ, অলি আহমদ, মিহেল চৌধুরী, রুবেল আহমদ, বিপ্লব, মরিয়ম আক্তার, কেএম জাকির হোসেন, সাইফুর রহমান, আমির হোসেন, তানবীর আহমদ, সুজাত আলী ও পিংকু দেব রাজ প্রমূখ।