• ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

বিদেশি সেনা সরিয়ে নেবার হুমকি তালেবানের

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত জুলাই ৫, ২০২১
বিদেশি সেনা সরিয়ে নেবার হুমকি তালেবানের

বিবিএন ডেস্ক: আফগানিস্তান থেকে পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সেনাদের এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা রয়েছে। সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, এরপরও যদি কোনো বিদেশি সেনা দেশটিতে থেকে যায়, তবে তা দখলদারদের জন্য ঝুঁকির কারণ হবে।

যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম বিবিসির আজ সোমবারের খবরে বলা হয়েছে, কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং কূটনৈতিক মিশন রক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এক হাজার সেনা আফগানিস্তানে রয়ে যেতে পারে। এমন প্রতিবেদন প্রকাশের পর তালেবানের পক্ষ থেকে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হলো।

২০০১ সালে আফগানিস্তানে হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলার পর থেকে সেখানে ন্যাটোর সেনারা অবস্থান করছে। তবে ইতিমধ্যেই অধিকাংশ সেনাদের ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ২০ বছরের এই সামরিক অভিযান প্রায় শেষ হওয়ার পথে। কিন্তু এই অভিযান যখন শেষ হচ্ছে তখন আবারও অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে আফগানিস্তান। কারণ, সম্প্রতি তালেবান তাদের হামলা বাড়িয়েছে এবং নতুন নতুন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে।

ফলে ন্যাটোর সেনাদের প্রত্যাহার এবং আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে নতুন করে নিরাপত্তাসংক্রান্ত উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সৈন্যরা কাবুলের কাছে বাগরাম বিমানঘাঁটি ছাড়ার দুই দিনের মধ্যেই দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ কান্দাহারের পাঞ্জওয়াই জেলার পতন ঘটেছে। এ ছাড়া দেশটির বেশ কয়েকটি প্রদেশে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে তালেবানদের লড়াই চলছে।

এ প্রসঙ্গে বিবিসির সঙ্গে আলাপকালে তালেবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহীন বলেন, কাবুলের দখল নেওয়া তালেবানের উদ্দেশ্য নয়। তবে তিনি এ–ও বলেছেন, সেনা প্রত্যাহার শেষ হওয়ার পরে কোনো বিদেশি সেনার এই শহরে থাকা উচিত হবে না।

আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি হয়েছে। এই চুক্তি অনুসারে যদি যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সেনারা ফেরত না যায়, তবে তালেবান নেতৃত্ব নতুন সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন সুহাইল শাহীন। তিনি বলেন, ‘আমরা এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেব।’ তিনি আরও বলেন, কূটনীতিক, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মী ও বিদেশি নাগরিকেরা তাঁদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে না। তাঁদের আলাদা করে সুরক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।