লতিফুর রহমান রাজু, সুনামগঞ্জ: গত কদিনের অব্যাহত ভারী বৃষ্টিপাত ও সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ জেলার কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছিল কিন্ত বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল আসা কম থাকার কারণে পানি নেমে গেছে। যদিও পানি কমেছে কিন্ত মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। জেলার তাহিরপুর উপজেলার নীচু এলাকার কয়েক টি গ্রামের আশপাশে এখনো পানি আছে। এ গ্রাম গুলো হচ্ছে দক্ষিণ শ্রী পুর ইউনিয়নের আহসান পুর , সোলেমান পুল, গোলাবাড়ি মন্দিয়াতা । এসব গ্রামের মানুষ গবাদি পশু নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তার মধ্যে আছে। গো খাদ্য সংকট রয়েছে। তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন এই কদিনে পানি কমে গেছে তারপর ও মানুষ দুর্ভোগ কমেনি। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন আমি গবাদি পশু লালন পালন করে জীবিকা নির্বাহ করি এখন গরুর খাদ্য নিয়ে চিন্তিত। দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন তার উপজেলার পানি কমে গেছে এখন করোনার জন্য লকডাউন নিয়ে কাজ করছেন। তাহিরপুর উপজেলার আনোয়ারপুর সেতুর পাশের পানি সরে যাওয়ার পর যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে যানবাহন চলছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সবিবুর রহমান জানান বৃষ্টিপাত কম থাকার কারণে পানি নেমে গেছে ।সুরমা সহ নদ নদীর পানি বিপদ সীমার কাছাকাছি।ভারী বৃষ্টিপাত হলে পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষি বিভাগ সুত্র জানান জেলার কোন কোন জায়গায় বীজতলা পানির নীচে ছিল পানি সরে যাওয়ায় আশাকরি ক্ষতিগ্রস্ত হবেনা।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন সুনামগঞ্জ জেলার ১১ উপজেলার ইউএনও দের ইতিমধ্যেই ১কোটি ১১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় । যাদের বাড়ি ঘরে পানি ছিল এবং করোনার কারণে কর্মহীন তাদের সহায়তা দেয়া হয়েছে ।