আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দুই ডোজে একই কোম্পানির টিকা ব্যবহারের চেয়ে মিশ্র ডোজ ব্যবহার করা হলে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে বেশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হতে পারে। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে ফাইজারের টিকায় প্রথম ডোজ নেওয়ার চার সপ্তাহের মাথায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া হলে তা অধিক কার্যকর হয়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত কম-কোভ নামের এই গবেষণায় দেখা গেছে, অন্য যেকোনও মিশ্র টিকার ব্যবহারের চেয়ে বেশি কার্যকর ফাইজার ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার মিশ্রন।
গত শনিবার ভারতের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এআইআইএমএস) প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া জানান, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো কিংবা আরও অ্যান্টিবডি তৈরিতে মিশ্র টিকা ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা প্রয়োজন।
এদিকে টিকা নেওয়ার পর রক্ত জমাট বাঁধার বিরল কিছু ঘটনার পর কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ দ্বিতীয় ডোজে বিকল্প হিসেবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কম-কোভ গবেষণায় সেই সিদ্ধান্তের পক্ষেই সমর্থন পাওয়া যাচ্ছে।
ওই গবেষণার প্রধান তদন্তকারী এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পেডিয়াট্রিকস অ্যান্ড ভ্যাকসিনোলোজির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ম্যাথিউ স্নাপ জানান, সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে সেই সব মানুষের যারা দুই ডোজ ফাইজারের টিকা নিয়েছেন। তবে দুই ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা যারা নিয়েছেন তাদের তুলনায় এক ডোজ ফাইজার ও অন্য ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেওয়াদের অ্যান্টিবডির পরিমাণ বেশি।
৮৩০ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর মিশ্র ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে গবেষণাটি চালানো হয়।
সূত্র: আল জাজিরা, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস