• ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১লা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ছাতকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী ফাহিম গ্রেফতার

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত জুন ২৫, ২০২১
ছাতকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী ফাহিম গ্রেফতার

 

লতিফুর রহমান রাজু , সুনামগঞ্জ; দক্ষিণ সুনামগঞ্জের একটি মন্দিরে পা তুলে ছবি তুলে ফেসবুকে   পোস্ট দেয়ার কারণে পুলিশ এক কিশোর কে আটক করেছে। সে ছাতকের সিংচাপইড় ইউনিয়নের সিংচাপইড় গ্রামের রিপন মিয়ার ছেলে ও সিংচাপইড় আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ফাহিম আহমেদ।
শুক্রবার (২৫ জুন) জগন্নাথপুরে থাকা যুবকের আত্নীয়ের বাসা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিপিএম এর নির্দেশে  ছাতক সার্কেল বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশ ও ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ নাজিম উদ্দীনের সহায়তায় মাদ্রাসা ছাত্র ফাহিমকে আটক করা হয়। প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ফাহিমসহ তিন যুবক দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের লোকনাথ মন্দিরে যায়। ওই মন্দিরে শ্রী নৃসিংহদেব এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কালীয়দমন বিগ্রহের মুর্তি রয়েছে। ফাহিম মন্দিরে মুর্তির উপর পা রেখে ছবি তুলে সে তার ফেসবুকে পোস্ট করে। এদিকে এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তারা ঐ কিশোরের গ্রেফতার দাবী করেন।
তার ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশটটি বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভাইরাল হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন। ওই ঘটনায় সুনামগঞ্জসহ সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে আজ শুক্রবার দুপুরে মন্দিরে ছুটে যান দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহ অন্যান্যকর্মকর্তাগণ। । এদিকে ওই ঘটনায় সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী যুবককে দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। নির্দেশনা পেয়ে থানা পুলিশ চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ফাহিমকে আটক করতে সক্ষম হয়।
আমাদের ছাতক প্রতিনিধি কাজি রেজাউল করিম রেজা জানান, ছাতকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা সেই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। সে উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের সিংচাপইড় গ্রামের রিপন মিয়ার ছেলে ফাহিম আহমেদ।

শুক্রবার জগন্নাথপুরে থাকা যুবকের আত্মীয়ের বাসা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (ছাতক-দোয়ারা) সার্কেল বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে আটক করা হয়।

প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ফাহিমসহ তিন যুবক দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের লোকনাথ মন্দিরে যায়। ওই মন্দিরে শ্রী নৃসিংহদেব এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কালীয়দমন বিগ্রহের মুর্তি রয়েছে। ফাহিম মন্দিরে মুর্তির উপর পা রেখে ছবি তুলে সে তার ফেসবুকে পোস্ট করে। তার ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশটটি বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভাইরাল হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশ। ওই ঘটনায় সুনামগঞ্জসহ সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে মন্দিরে ছুটে যান দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মুক্তাদির আহমদ, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জিত চৌধুরী টপ্পা, পশ্চিম পাগলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।

ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাজিম উদ্দিন ফাহিমকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।