বিবিএন ডেস্ক: যুক্তরাজ্যে গত সপ্তাহে ১ লাখ ৭০ হাজার শিক্ষার্থী সেলফ আইশোলেশনে রয়েছে। বর্তমানে দেশটিতে ৭ বছরের উর্ধ্বে শিশু-কিশোরদের মধ্যে বাড়ছে করোনা ভাইরাস। এরই মধ্যে ৯ হাজার শিক্ষার্থীর দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও গত সপ্তাহে ১ লাখ ৭০ হাজার উপরে শিক্ষার্থী করোনা ভাইরাসের কারনে সেলফ আইশোলেশনে রয়েছে। চলতি সপ্তাহে থেকেও লাখের উপর শিক্ষার্থীরা সেলফ আইশোলেশনে গিয়েছে।
জাতীয় পরিসংখ্যন ব্যুরোর দেওয়া তথ্যমতে, গত ১৭ ই জুন পর্যন্ত দেশটির ২ দশমিক ৭ শতাংশ প্রাইমারী শিক্ষার্থী ও ৪ দশমিক ২ শতাংশ সেকেন্ডারী শিক্ষার্থী করোনা ভাইরাসের কারনে ক্লাসে অংশ নিতে পারেননি।
সর্বশেষ তথ্যমতে স্কুল খোলার পর ৯ হাজার প্রাইমারী ও সেকেন্ডারী শিক্ষার্থীর দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। ১৬ হাজার শিক্ষার্থীদের করোনা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করার কারনে সেলফ আইশোলেশনে চলে যায়। আর ১ লাখ ৭২ হাজার শিক্ষার্থীরা সেলফ আইশোলেশনে যায় কারন নিজ ক্লাসের কারও শরীরে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া ৪২ হাজার শিক্ষার্থী সেলফ আইশোলেশনে রয়েছে কারন তাদের পরিবারের কারও শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কিংস কলেজ লন্ডনের গবেষক ড. মাইকেল অ্যাবসাড জানান, এভাবে শিক্ষার্থীরা শ্রেনীকক্ষের বাইরে থাকার কারনে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। একই সাথে তাদের শারীরিক উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, সম্পতি একটি গবেষনায় দেখা গিয়েছে যুক্তরাজ্যে এই দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর আবার সেলফ আইশোলেশনের কারনে প্রতিবন্ধী শিশুদের বেড়ে ওঠা বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে।
অন্যদিকে পাবলিক হেলথের দেওয়া তথ্যমতে, দেশটিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভারতীয় ধরনের করোনা ভাইরাসের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাই এ বিষয়ে সরকারের আরো বেশি মনযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন দেশেটির স্কুল ইউনিউনগুলো।
স্কুল ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচাতে সরকারের পদক্ষেপ গুলো আরো জোড়ালো হওয়া প্রয়োজন।(রানার.কম)