মো: রেজাউল করিম মৃধা: মেধা এবং যোগ্যতাই মানুষের সাফল্যের চাবিকাঠি। এখানে নারী বা পুরুষ আসলেই কোন বাঁধা নয়।এক জন নারী হয়েও তিনি গবেষক হয়েছেন। মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। তার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ ড: তাফহিমা হয়দার।
ছাত্র জীবন থেকেই বুদ্ধি মতি তিনি। ক্লাসে সবার সেরা। প্রতিটি পরীক্ষায় পেয়েছেন সর্বোচ্চ নাম্বার। এই ভাবে এক এক করে পাড়ি দিয়েছে স্কুল থেকে কলেজ, ইউনিভার্সিটি ।
কুইন মেরী ইউনিভার্সিটি থেকে অনার্স, ইউসিএল থেকে মাস্টার্স এবং পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করে ব্রিটেন এই প্রথম মুসলিম, ব্রিটিশ বাংলাদেশী কোন নারী সাইন্টিস্ট হলেন।
তাফহিমা হয়দার ডাক নাম চাঁদনী । চাঁদের মতই আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বের অসহায়( HIV) রোগীদের জন্য গবেষনা করে ঔষধ আবিস্কার করার চ্যালেন্জ হাতে নিয়েছেন। তিনি বলেন,” এই মরন ব্যাধি রোগ প্রতিরোধক ঔষধ আবিস্কৃত হলে বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ সুস্থ্য জীবন পাবেন। বিশেষ করে দক্ষিন আফ্রিকার বহু মানুষ এই মরনব্যাধিতে আক্রান্ত শিশু থেকে শুরু করে বহু লোক ইমুনিটি বৃদ্ধির মাধ্যমে উপকৃত হবে । ফিরে পাবে স্বাভাবিক জীবন,”।
তাফহিমা মলিকোনার ভায়োলজির গবেষক ও পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। সাথে সাথে ক্যামব্রিজ ও কুইন মেরী ইউনিভার্সিটি থেকে অফার পেয়েছেন। বর্তমানে কুইনমেরী ইউনিভার্সিটিতে গবেষনা অংশ গ্রহন করছেন।
ছোট্ট বেলা থেকেই বাংলা সংস্কৃতির সাথে সম্পৃক্ত। থাকেন নর্থ লন্ডন অথচ ইস্ট লন্ডনে এসে নিয়মিত গান এবং নাচের তালিম নিয়েছেন। চ্যানেল এস এ এসো বাংলা শিখি এবং ইট্স আওয়ার ডের নিয়মিত শিল্পী ছিলেন।
তাফহিমা ছাত্র জীবন থেকেই বিভিন্ন সামাজিক ও চ্যারিচি সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। মাটের্নাল এইড এসোসিয়েশন (MAA) এর ভলেন্টিয়ার একাডেমিক অফিসারের দায়িত্ব পালন করে। ব্রিটেন থেকে অর্থ সংগ্রহ করে বাংলাদেশের দুস্থ এবং গর্ভবতী মা দের সেবা করে যাচ্ছেন। এতে বহু মা উপকৃত হয়েছেন।সেবা মূলক কাজে সব সময় তিনি আত্ব নিয়োজিত রয়েছেন।
করোনাভাইরাস মহামারির সময়ও নিজেকে নিয়োজিত করেছেন সমাজ সেবা মূলক কাজে।করোনা রুগীদের সহযোগিতা সহ দিয়েছেন সঠিক পরামর্শ । এতেও উপকৃত হয়েছেন বহু করোনা রুগী।
বাবা সাংবাদিক, লেখক, রফিকুল হায়দার ( দেওয়ান ফয়সাল),মা জোছনা আরা হায়দার একজন সাংস্কৃতিক কর্মী, ভাই দেওয়ান মুশফিক হায়দার তাহা এবং ছোট বোন তাসনিম হায়দার চুমকি প্রাইভেট প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা।
দেশের বাড়ি বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দূর্লভ পুর গ্রাম।
তাফহিমা এই সাফল্যে গর্বিত তার পরিবার সেই সাথে গর্বিত পুরো বাংলাদেশ।তার এই ব্যাতিক্রম গবেষনায় উপকৃত হবে বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ। অনুপ্রেরনা পাবে নতুন প্রজন্ম।(ওয়ান বাংলা)